মংলায় অত্যাধুনিক সাইলো নির্মাণ
এম এ হান্নান, মংলা : মংলা সাইলো প্রকল্পের পরিচালক দিমল ভুইয়া আমাদের অর্থনীতিকে জানান, সাইলো প্রকল্পের কাজ সমাপ্তির পথে এখন শুধু প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের অপেক্ষায় রয়েছে। অত্যাধুনিক জেটিসহ মংলা সাইলো নির্মাণ প্রকল্পের কাজ (বড় আকারের খাদ্য সংরক্ষণাগার) নির্মাণ প্রকল্পের কাজ। এটি মংলা শহর থেকে ১৭ কিলোমিটার দক্ষিণে সমুদ্রের দিকে পশুর নদীর তীরে ১৩টি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কর্তৃক ৫০ হাজার মে. টন খাদ্যশস্য ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন সাইলোসহ আন্যান্য স্থাপনার নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করা হচ্ছে। প্রকল্পটি সম্পন্ন হলে বিদেশ থেকে আমদানি করা খাদ্য-শস্য নিরাপদে শুধু সংরক্ষণই হবে না এখানকার জনপদেরও ব্যাপক উন্নয়ন হবে। এ প্রকল্পটি শেষ করার পর এখানে আরো এক লাখ মে: টন খাদ্যশস্য ধারণ ক্ষমতার আরেকটি স্টিল সাইলো নির্মাণ করার পরিকল্পানা সরকারের রয়েছে।
সাইলো নির্মাণ কাজে নিয়োজিত মূল ঠিকাদার তমা কনস্ট্রাকশনের প্রজেক্ট ইনচার্জ মো. ইকরামুল হক-এর কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দ্রুত গতিতে চলছে মংলায় ৫০ হাজার মেট্রিকটন সাইলো নির্মাণ কাজ। তবে যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত না থাকায় এ প্রকল্প এলাকাটি দুর্গম এলাকায় হওয়ায় কাজের গতি এখন ও বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। সম্পূর্ন কাজ আগামী মাসের মধ্যে শেষ হবে মর্মে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এ প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন হলে খুলনা, যশোর ও বরিশালসহ এ এলাকার বেকার জনবল উপকৃত হবেন। এই সাইলোর ফলে দক্ষিণাঞ্চলে রাস্তা গাট, স্কুল কলেজ, রেললাইন, নদী খনন, মংলা ব্রিজসহ আরো অনেক উন্নয়ন হবে।
মংলা সাইলো প্রকল্পের উপ-প্রকল্প পরিচালক বিমল ভুঁইয়া বলেন, ৫শ ৩৭ কোটি টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়নাধীন ৫০ হাজার মে. টন খাদ্য শস্য ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন সাইলো প্রকল্পের কাজ শেষ হবে আগামী মাসে। এ প্রকল্পের অধীনে সাইলোর পাশাপাশি একটি অত্যাধুনিক জেটি নির্মিত হয়েছে। এর ফলে জোয়ার বা ভাটা যে কোন সময় এ জেটির মাধ্যমে খাদ্য-শস্যসহ মালামাল লোড-আনলোড করা যাবে। ফলে এ অঞ্চলে অনেক কলকারখানা স্থাপন ও দরিদ্র মানুষের কর্মসংস্থান ব্যবস্থা ও জন দুর্ভোগ অবসান হবে।