স্ত্রী অসুস্থ, জন্মদিন পালন করছেন না মুর্তজা বশীর
জব্বার হোসেন : আজ ১৭ আগস্ট পঁচাশি বছরে পা দিলেন শিল্পী মুর্তজা বশীর। তাকে বিবেচনা করা হয়ে থাকে দেশের শিল্প ঘরানায় মূর্ত হতে বিমূর্ত যাত্রার একজন অগ্রণী শিল্পী হিসেবে। পঁচাশিতে পা রাখলেও শিল্পী এখনো সরব। গতকাল আমাদের অর্থনীতির সঙ্গে আলাপকালে বলেন, ‘জন্মদিন নিয়ে তেমন কোনো আয়োজন নেই। আমার স্ত্রী দীর্ঘদিন ধরে শরীরে সোডিয়ামজনিত সমস্যায় ভুগছেন। স্ত্রীর অসুস্থতাজনিত কারণে বিশেষ কোনো আয়োজন করছি না। তবে, আমার সন্তান ও শুভাকাক্সক্ষীদের অনেকেই হয়তো শুভেচ্ছা জানাবে। আসবে দেখা করতে।’
১৯৪৯ সালে ঢাকা আর্ট ইনস্টিটিউটে ২য় ব্যাচের ছাত্র হিসেবে রঙ-তুলির সঙ্গে তার আনুষ্ঠানিক হাতেখড়ি। এর আগে ছাত্রাবস্থায় সমাজতন্ত্রী দলের কর্মী হিসেবে পোস্টারে ছবি এঁকে নিজের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করতে চেয়েছিলেন। ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহর আদরের ছেলে হিসেবে চিত্রশিল্পী হিসেবে নিজেকে মেলে ধরা তার কাছে ছিল যুদ্ধ জয়ের মতো। ১৯৫৮ সালে প্রথম একক প্রদর্শনী করেছিলেন। এরপর অজস্রবার তিনি তার কাজের ব্যপ্তিতে রঙ-রেখার বৈভবে মুগ্ধ করেছেন। সক্রিয় অংশগ্রহণ করেছিলেন বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনে। ভাষা আন্দোলনের ওপর করা তার লিনোকাট ও স্কেচচিত্র আজও আমাদের শিল্প ইতিহাসের প্রামাণ্য দলিল। একুশে পদকে ভূষিত করে জাতি তার অর্জনকে সম্মানিত করেছে।
পরবর্তীতে আমাদের মহান স্বাধীনতা সংগ্রামের অর্জনকে কেন্দ্র করে আঁকেন ‘এপিটাফ’ সিরিজের তেলচিত্র। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ মিনার চত্বরে গড়েন দেশের সর্ববৃহৎ ম্যুরাল আমাদের মুক্তিযুদ্ধকে উপজীব্য করে। সম্পাদনা : সুমন ইসলাম