ফ্রান্সের আরও ৩ শহরে নিষিদ্ধ হচ্ছে বুরকিনি
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ফ্রান্সের আরও তিনটি শহরে মুসলিম নারীদের পোশাক ‘বুরকিনি’ নিষিদ্ধ হচ্ছে। এ শহরগুলো হলো লুকেট, চ্যানেল টাউন এবং লি তোকুয়েত। এর আগে নিষিদ্ধ করা হয়েছে কান, ভিলেনুয়েভ লুবেত এবং কারসিকার সিসকোতে। সব মিলিয়ে বুরকিনি নিষিদ্ধ হচ্ছে মোট ৬টি শহরে। এমএসএন ডটকম
বুরকিনি হলো এমন একটি পোশাক যা পরলে একজন নারীর পুরো শরীর ঢেকে থাকে। তার শুধু মুখ ও হাত দেখা যায়। এ পোশাক পরা নিয়ে কারসিকার সিসকোতে বড় ধরনের এক সংঘর্ষ হয়ে গেছে। তাতে আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৫ জন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে কর্তৃপক্ষ। শহরগুলোতে, বিশেষ করে পর্যটন স্পট, সমুদ্র সৈকতে এ পোশাক নিষিদ্ধ করায় স্থানীয় পর্যায়ে ব্যাপক উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। মুসলিমরা তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এ নিয়ে চলছে গরম বিতর্ক। সেই বিতর্কের মাঝেই বুরকিনি নিষিদ্ধের পক্ষে মত দিয়েছেন ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী ম্যানুয়েল ভালস। বুরকিনি পরাওয়ালাদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেছেন, এ পোশাক ফ্রান্স ও এ প্রজাতন্ত্রের মূল্যবোধের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। যেসব শহরের মেয়র এ পোশাককে নিষিদ্ধ করছেন তিনি তাদেরকে সমর্থন করেন, যদি তারা জনগণের ভালোর জন্য এটা করে থাকেন। ফ্রান্সের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় অবকাশ যাপন কেন্দ্র হলো লুকেট শহর। মঙ্গলবারই বুরকিনি নিষিদ্ধ করার পক্ষে একটি মিউনিসিপ্যালিটির ডিক্রিতে স্বাক্ষর করার কথা এ শহরের মেয়র মাইকেল পাই’য়ের। ওই নিষেধাজ্ঞায় সমুদ্র সৈকতগুলোতে বুরকিনি নিষিদ্ধ করার কথা বলা হয়েছে। এ ডিক্রি বলবৎ থাকবে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত। ডিক্রিতে বলা হয়েছে, এ সময় পর্যন্ত ‘যদি কেউ যথাযথ পোশাক পরিধান না করেন নৈতিক আচরণের প্রতি সম্মান না দেখান, ধর্মীয় নিরপেক্ষতা না মানেন, স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ না করেন, গোসল করার সময় নিরাপত্তা না মানেন’ তাহলে তাকে পাবলিক সমুদ্র সৈকতে প্রবেশ করতে দেয়া হবে না। ‘এসব মূলনীতি অনুসরণ করে এমন পোশাক পরতে হবে সমুদ্রে গোসল করার সময়’। অন্যদিকে পরপিগনান থেকে ৩৫ কিলোমিটার দূরে ভূমধ্যসাগরীয় উপকূলীয় শহর লুকেট। ওদিকে চ্যানেল টাউনের মেয়র ওইই-প্লাগ মঙ্গলবার বলেছেন, সমুদ্র সৈকতে যাওয়ার সময় মাথা ঢেকে, হাতে গ্লোভস পরে, মুখ ও চোখ ঢাকা পোশাক পরে যান নারীরা। সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদ