সমালোচনার মুখে বিতর্কিত আটককেন্দ্র বন্ধ করছে অস্ট্রেলিয়া
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : তুমুল সমালোচনার মুখে মানুস দ্বীপে অস্ট্রেলীয় অর্থায়নে পরিচালিত বিতর্কিত শরণার্থী আটককেন্দ্রটি বন্ধ করতে একমত হয়েছে অস্ট্রেলিয়া ও পাপুয়া নিউ গিনির সরকার। বুধবার পাপুয়া নিউ গিনির প্রধানমন্ত্রী ও অস্ট্রেলিয়ার অভিবাসনমন্ত্রী আলাদা আলাদা বিবৃতিতে খবরটি নিশ্চিত করেছেন। তবে আটককেন্দ্রটিতে থাকা ৮০০ শরণার্থীর পরিণতি কী হবে সে ব্যাপারে এখনও অনিশ্চয়তা কাটেনি। কেননা, মানুসের আটককৃতদের নিজেদের দেশে জায়গা দিতে আবারও অস্বীকৃতি জানিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। রয়টার্স
নাউরুর আটককেন্দ্রের ভয়াবহ পরিস্থিতি নিয়ে অস্ট্রেলিয়া সরকারের তৈরি করা ২ হাজারেরও বেশি প্রতিবেদন ফাঁস হওয়ার পর যখন তুমুল সমালোচনা চলছে, যখন নাউরু ও মানুস আটককেন্দ্রের সাবেক কর্মীরা সেগুলো বন্ধ করার দাবি জানিয়ে কর্তৃপক্ষকে চিঠি লিখেছেন ঠিক তখনই এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হলো।
বুধবার (১৭ আগস্ট) অস্ট্রেলিয়ার অভিবাসনমন্ত্রী পিটার ডুটন পাপুয়া নিউ গিনির প্রধানমন্ত্রী পিটার ও’নিলের সঙ্গে দেখা করেন। সেসময় মানুস আটককেন্দ্রটি বন্ধ করে দেওয়ার ব্যাপারে একমত হন তারা। পরে এক বিবৃতিতে পিটার ও’নিল বলেন, ‘আটককেন্দ্রটি বন্ধ করার ব্যাপারে পাপুয়া নিউ গিনি ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে সমঝোতা হয়েছে। এর জন্য বেশ কিছু ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ যে এসব প্রক্রিয়া যেন তাড়াহুড়া করে না নেওয়া হয়।’ তবে ওই বিবৃতিতে শরণার্থী আটককেন্দ্রটি বন্ধের তারিখ উল্লেখ করা হয়নি। ১১ আগস্ট (বুধবার) ‘নাউরু পেপারস’ নামে ফাঁস হওয়া প্রতিবেদনগুলোর তথ্য বিশ্লেষণ করে আটক থাকা অভিবাসন প্রত্যাশীদের ওপর শারীরিক ও যৌননিপীড়নের শোচনীয় অবস্থাকে তিনটি প্রতিবেদনের মাধ্যমে নথিবদ্ধ প্রমাণসমেত হাজির করে গার্ডিয়ান। প্রতিক্রিয়ায় তুমুল সমালোচনা শুরু হয় মানবাধিকার সংগঠনগুলোর তরফ থেকে। এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার নাউরু ও মানুস আটককেন্দ্রের শতাধিক সাবেক কর্মী স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বলা হয়, এসব আটককেন্দ্রে থাকা শরণার্থীদের পুনর্বাসনের জন্য অস্ট্রেলিয়াকে কাজ করতে হবে। মূল ভূখণ্ডে ফিরিয়ে নেওয়াটাই আটককৃত অভিবাসন প্রত্যাশীদের নিরাপত্তা রক্ষার একমাত্র উপায় বলেও যুক্তি দেখিয়েছেন তারা। সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদ