বে-টার্মিনাল নির্মাণ চট্টগ্রাম বন্দর ও জার্মানি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে চুক্তি সই
মো. শহিদুল ইসলাম, চট্টগ্রাম : বে-টার্মিনাল নির্মাণ কাজ শুরুর আগে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জন্য জার্মানির হামবুর্গ পোর্ট কনসালটিং প্রতিষ্ঠানকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। বুধবার ১১টায় বন্দরের সম্মেলন কক্ষে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ ও জার্মানি ওই প্রতিষ্ঠানের মধ্যে চুক্তি সই হয়েছে। আগামী ৮ থেকে ৯ মাসের মধ্যে সম্ভাব্যতা যাচাই শেষ হলেই বে-টার্মিনাল নির্মাণের জন্য ভূমি অধিগ্রহণের কাজ শুরু হবে জানা গেছে।
চট্টগ্রাম বন্দরের পক্ষে চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম. খালেদ ইকবাল ও জার্মানির হামবুর্গ পোর্ট কনসালটিং প্রতিষ্ঠানের পক্ষে বেনজামিন লিডার চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেন। সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ দ্রুত সময়ের মধ্যে শুরু করা হবে বলে আশা প্রকাশ করেন বন্দরের কর্মকর্তারা।
বন্দর সূত্র জানা গেছে, বে-টার্মিনাল নির্মাণের জন্য পরিবেশ অধিদফতর থেকে নো অবজেকশন সার্টিফিকেট এই মাসে সংগ্রহ করা হবে। এ জন্য বন বিভাগ ও পুলিশের অনাপত্তিপত্রের কাগজ জমা দেয়া হয়েছে। ফিজিবিলিটি স্টাডি করে রিপোর্ট সংগ্রহের জন্য বন্দর কর্তৃপক্ষকে প্রায় ৮ কোটি টাকা ব্যয় করতে হবে। বে-টার্মিনাল নির্মাণের জন্য ৯০৭ একর ভূমি অধিগ্রহণ করা হবে। নগরীর হালিশহর উপকূলে জোয়ার-ভাটার নির্ভরতামুক্ত এলাকায় টার্মিনালটি নির্মাণের প্রকল্প তৈরি করে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। এর দৈর্ঘ্য ৬ দশমিক ১৫ কি.মি. এবং প্রস্থ প্রায় ৬০০ মিটার। সমুদ্রে জেগে উঠা চরে বে-টার্মিনালের অবকাঠামো গড়ে তোলা হবে। ১৯৯০ সালের পর চরটি জেগে উঠে। তীর থেকে প্রায় ৮০০ মিটার দূরের চরটি নতুন একটি চ্যানেলের সৃষ্টি করেছে। বন্দর কর্তৃপক্ষ ওই চরকে ঘিরে সৃষ্ট চ্যানেলে টার্মিনালটি নির্মাণ করতে চায়। ড্রেজিং করে চ্যানেলটিতে বড় বড় মাদার ভ্যাসেল বার্থিং দেয়া যাবে বলে জানান বন্দর কর্মকর্তারা। বন্দরের নিউমুরিং কন্টেইনার টার্মিনালসহ সবগুলো জেটিতে বর্তমানে সর্বোচ্চ ৯ দশকি ৫০ মিটার ড্রাফটের জাহাজ ভেড়ানো হয়। বে-টার্মিনাল হলে ১০-১২ মিটার ড্রাফটের জাহাজ ভেড়ানো যাবে। বর্তমানে এই বন্দরে সর্বোচ্চ ১৮শ টিইইউএস কন্টেইনার বোঝাই জাহাজ ভেড়ানো যায়। বে-টার্মিনালে অনায়াসে ৫ হাজার টিইইউএস কন্টেনার বোঝাই জাহাজ ভেড়ানো যাবে। সম্পাদনা : প্রিয়াংকা