নতুন ঢাকা উপহার দিতে চাই : আনিসুল হক
ফয়সাল খান: আগামী ৩ বছরের মধ্যে সম্পূর্ণ নতুন এক ঢাকা উপহার দিতে চান ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আনিসুল হক। মেয়র বলেন, এয়ারপোর্ট ফুটওভার ব্রিজ এই উদ্যোগের একটি ক্ষুদ্র অংশ। তিনি গতকাল দুপুরে প্রায় ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে এয়ারপোর্ট ফুটওভার ব্রিজ উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন।
খিলক্ষেত এবং রেডিসন হোটেলের সামনে এমন আরও দুটি ফুটওভার ব্রিজ শিগগিরই নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিয়ে আনিসুল হক বলেন, উত্তরায় ২ বছরে যে উন্নয়ন হয়েছে, বিগত ১০ বছরেও উত্তরাবাসী তা দেখেনি। তিনি বলেন, রাস্তাঘাটে আগে যেসব আবর্জনা স্তুপাকারে পড়ে থাকত তার শতকরা ৯০ ভাগ ইতোমধ্যেই অপসারণ করা হয়েছে। অবশিষ্ট আবর্জনা অপসারণে তিনি নগরবাসীর সহযোগিতা কামনা করেন। এসময় নগরীর নিরাপত্তা বিধানে সিসি ক্যামেরা স্থাপন, যানজট নিরসনে বিশেষ সার্কুলার বাসসার্ভিস ও রিকশাসার্ভিস, সবুজায়নের জন্য রাস্তার মধ্যবর্তী মিডিয়ান, ফুটওভার ব্রিজ এবং বাড়িবাড়ি নানাধরনের ফুল, ফল ও অন্যান্য গাছ লাগানোর পাশাপাশি সম্প্রতি চালু হওয়া ‘নগর’ অ্যাপের বিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব দিতে নগরবাসীর প্রতি আহ্বান জানান।
ডিএনসিসি সূত্র জানায়, রাজধানীর ব্যস্ততম ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের উপর নির্মিত স্টিলের তৈরি শিশু ও বয়স্কবান্ধব এই ফুটওভার ব্রিজে ওঠার জন্য রয়েছে চলন্ত সিঁড়ির সুবিধা। নারায়নগঞ্জে অবস্থিত বাংলাদেশ নৌবাহিনী নিয়ন্ত্রিত ডকইয়ার্ড অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস লি. এটি নির্মাণ করে। ঢাকা ডিএনসিসির নিজস্ব অর্থায়নে এটি নির্মাণে ব্যয় হয় প্রায় ৪ কোটি ৮৪ লাখ টাকা ব্যয়ে। ৬৩.৪০ মিটার দৈর্ঘ্য এবং ২.৩০ মিটার প্রস্থের এ ফুটওভার ব্রিজটির তলদেশ রাস্তা থেকে প্রায় ৬.৫০ মিটার উঁচু। ব্রিজের ছাউনিতে গ্লাস ফাইবারের শিট ব্যবহারের ফলে খরতাপ থেকে কিছুটা রক্ষা পাওয়া যাবে। রাত্রিকালে চলাচলের জন্য ব্রিজটিতে রয়েছে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মেসবাহুল ইসলাম, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাঈদ আনোয়ারুল ইসলাম, প্রধান বর্জ্যব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমোডর আব্দুর রাজ্জাক, নারয়নগঞ্জ ডকইয়ার্ড অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্যাপ্টেন এসআইএম জাহানইয়ার, স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. আবছার উদ্দিনসহ ডিএনসিসি, বাংলাদেশ নৌবাহিনী এবং ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সম্পাদনা: আ. হাকিম