কেক না কাটার ফায়দা দিতে চায় না আ’লীগ
নাশরাত আর্শিয়ানা চৌধুরী: বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসতে হলে ১৫ আগস্ট জন্মদিন পালন বন্ধ করতে হবে। এমন শর্ত বরাবরই আওয়ামী লীগ নেতারা দিয়ে আসছেন। তার জন্মদিন পালন করা নিয়ে শেখ হাসিনাও তার উপর ক্ষুব্ধ। এই ক্ষোভ দূর করার জন্য কৌশল করেই এবার কেক কাটা থেকে বিরত থাকেন খালেদা জিয়া। কারণ তিনি একটি আগাম নির্বাচন ও সব দলের অংশগ্রহণে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চান। এজন্য কয়েক মাস ধরেই তিনি নমনীয় রয়েছেন। বিগত বছরগুলোতে জন্মদিনের কেক কাটলেও এবার তিনি কোনো কেক কাটেননি। এমনকি বিএনপির অঙ্গ সংগঠনকেও জন্মদিনের কেক না কাটার জন্য বলা হয়। এমনকি জন্মদিনের দিন সন্ধ্যায় তার গুলশানের কার্যালয়ে বিএনপির সিনিয়র নেতারা তাকে অভিনন্দন জানাতে গেলে তিনি সেই ফুল গ্রহণ না করে ফিরিয়ে দিয়েছেন। কেবল মিলাদ ও দোয়া পড়ানো হয় সেদিন।
খালেদা জিয়ার ঘনিষ্ঠ সূত্র জানায়, দেশের সামগ্রিক অবস্থা বিবেচনায়, বন্যা পরিস্থিতি, নির্যাতন, জেল-জুলুম ও অন্যান্য সমস্যার কথা বিবেচনা করে ম্যাডাম এবার জন্মদিন পালন করেননি ও কোনো কেক কাটেননি। এজন্য সরকারের উচিত ছিল ধন্যবাদ দেওয়া। তা না করে সরকার এ ব্যাপারেও সমালোচনাও করেছে। সরকারের ভয়, জন্মদিনের কেক কাটা থেকে বিরত থাকলে যদি আবার জনমত খালেদা জিয়ার পক্ষে যায়! নির্বাচনের জন্য সংলাপে বসতে হয়। এ কারণে কেক কাটা নিয়েও রাজনীতি করা হচ্ছে। বলা হচ্ছে, তিনি তার ছেলের জন্ম ১২ আগস্ট পালন করতে পারেননি বলে কেক কাটছেন না।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় শোক দিবসে বলেছেন, ১৫ আগস্ট উৎসব করে জানিয়ে দেয় খুনিদের তাদের সঙ্গে সে আছে।
এই ব্যাপারে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এক সদস্য তার নাম প্রকাশ না করার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, এবার ম্যাডাম কেক না কাটাতে ও ফুল গ্রহণ না করাতে এতদিন সরকার যে তাকে জন্মদিন পালন করা থেকে বিরত থাকার জন্য বলেছে। প্রাকৃতিক দুযোর্গ ও অন্যান্য কারণে সেটা এবার ম্যাডাম করে ফেলেছেন। এখন সরকার ও সরকার প্রধান বিপাকে পড়ে গেছেন। মনে করছেন, এখন তার সঙ্গে আলোচনায় বসতে হবে। কিন্তু তা যাতে করতে না হয় সেই জন্য নতুন একটা কারণ বের করেছে। যা মনগড়া। এগুলো করে সরকার আলোচনা বন্ধ রাখতে পারবে না। আলোচনা সরকারকে করতেই হবে। সম্পাদনা : পরাগ মাঝি