এস এম নূর মোহাম্মদ : চট্টগ্রামের তালশরা দরবার শরীফ থেকে ২ কোটি ৭ হাজার টাকা লুটের ঘটনায় দায়ের করা মামলার কার্যক্রম চলতে আইনগত কোনো বাধা নেই। মামলার কার্যক্রম বাতিল চেয়ে আসামি ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট শেখ মাহমুদুল হাসানের করা আবেদন খারিজ করে গতকাল বুধবার এ আদেশ দেন বিচারপতি এস এম এমদাদুল হক ও বিচারপতি এস এম মুজিবুর রহমানের বেঞ্চ। একইসঙ্গে মামলার ওপর দেওয়া স্থগিতাদেশও তুলে নেওয়া হয়েছে।
চাকরিচ্যুত ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট শেখ মাহমুদুল হাসান ছাড়া অন্য ছয় আসামি হলেনÑ র্যাব-৭ এর সাবেক কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল জুলফিকার আলী মজুমদার, ডিএডি আবুল বাশার, এসআই তরুণ কুমার বসু এবং র্যাবের তিন সোর্স দিদারুল আলম ওরফে দিদার, আনোয়ার মিয়া ও মানব বড়–য়া। আদালতে মাহমুদুল হাসানের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী জয়নুল আবেদিন। দরবারের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী তাজুল ইসলাম ও মো. এনাম। গতকাল আদালতে শুনানিকালে আইনজীবী জয়নুল আবেদীন বলেন, যথেষ্ট উপাদান না থাকায় আমরা মামলাটি পরিচালনা করতে অপারগতা প্রকাশ করছি। এতে মামলাটি কেন বাতিল করা হবে না মর্মে আগে জারি করা হাইকোর্টের রুল নিষ্পত্তি করে মামলা বাতিলের আবেদনটি খারিজ করে দেন আদালত।
জানা যায়, ২০১১ সালের ৪ নভেম্বর তালসরা দরবারে তল্লাশির নামে ডাকাতির অভিযোগে ২০১২ সালের ১৩ মার্চ এই মামলা হয়। দরবারের পীরের গাড়িচালক মো. ইদ্রিস আনোয়ারা থানায় ওই মামলা দায়ের করেন। ঘটনা জানাজানি হলে র্যাবের সদর দপ্তর থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। প্রাথমিক তদন্তে টাকা লুটের ঘটনায় র্যাব সদস্যদের যুক্ত থাকার বিষয়টি ধরা পড়ে। এরপর অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের চাকরিচ্যুত করা হয়।
সম্পাদনা : হাসিবুল ফারুক চৌধুরী