কিরণ সেখ : বাংলাদেশ মানবাধিকারের বাইরের রাষ্ট্রে অবস্থান করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, বাংলাদেশের গুম, খুন ও মানবতাবিরোধী কর্মকা-ে দেশের বিবেক ও বিশ্ব বিবেক চুপ করে আছে।
গতকাল বুধবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে জাতীয়তাবাদী হেল্পসেল আয়োজিত এক আর্থিক সহয়তা প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন। এতে সভাপতিত্ব করেন জাতীয়তাবাদী হেল্পসেল সিনিয়র সদস্য ইঞ্জিনিয়ার বেলায়েত হোসেন। ‘বিগত আন্দোলনে আওয়ামী সন্ত্রাসী ও বাকশালী পুলিশ কর্তৃক খুন, গুম এবং নিগ্রহের শিকার পরিবারকে আর্থিক সহয়তা’ শীর্ষক এ অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, দেশে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস চলছে। কিন্তু রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস দিয়ে জঙ্গিবাদ দমন করা যাবে। এর জন্য প্রয়োজন জাতীয় ঐক্যে। কিন্তু সরকার আমাদের এ আহ্বানকে এড়িয়ে যাচ্ছেন না বরং প্রত্যাখ্যান করছেন।
মির্জা ফখরুল অভিযোগ করেন, গত ২০১০ সাল থেকে এ পর্যন্ত বিএনপির ১ হাজার নেতাকর্মী নিহত হয়েছে। ৫শর অধিক নেতাকর্মী গুম করা হয়েছে। আন্দোলনে ১ হাজারের উপর নেতাকর্মী পঙ্গু করা হয়েছে এবং লাখ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করা হয়েছে। যার হিসাবও আমরা দিয়েছি। তিনি বলেন, সরকারকে বলতে চাই, জঙ্গিবাদ ও উগ্রবাদকে প্রতিরোধ করে দেশে গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে হবে। সংবাদপত্র বন্ধ, সাংবাদিকদের গ্রেফতার, হত্যা ও রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের গুম করে প্রতিরোধ করা যাবে না।
দেশে গণতান্ত্রিক পরিবেশ পুনরুদ্ধারের জন্য জাতীয় ঐক্যের কোনো বিকল্প নেই মন্তব্য করে মির্জা আলমগীর বলেন, কিন্তু প্রধানমন্ত্রী আমাদের আহ্বানসহ দেশের চলমান সকল ঘটনা নাকচ করে দিচ্ছেন। এতে আমরা হতাশ। কারণ তিনি ‘প্রধানমন্ত্রী’ প্রতিটি ঘটনায় বিএনপিকে দোষারোপ করছেন। বন্দুকযুদ্ধের নামে মানুষ হত্যা করা হচ্ছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ ও বিশ্ববাসীকে বোকা বানিয়ে ক্ষমতাসীনরা বন্দুকযুদ্ধের নামে মানুষ হত্যা করছে। এসময় হেল্পসেলের পক্ষ থেকে ছাত্রদলের গুম হওয়া ৫ পরিবারের সদস্যদের আর্থিক সহযোগিতা তুলে দেন তিনি। সম্পাদনা : রিমন মাহফুজ