ফারহান ফারুক : মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার এখনও উন্মুক্ত হয়নি উল্লেখ করে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি বলেন, এটা নিয়ে আমরা অন্ধকারে। তারা কী করবে আমরা তা জানি না। বুধবার রাজধানীর ইস্কাটনের প্রবাসী কল্যাণ ভবনে এক সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। লেবানন ও জর্ডান সফর শেষে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
মন্ত্রী বলেন, মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক পাঠানো হলে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হবে। আর সরকারি উদ্যোগে জি-টু-জির মাধ্যমে শ্রমিক পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে। তাই মালয়েশিয়ায় যাওয়ার ব্যাপারে দালালদেরকে কোনো টাকা না দেওয়ার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, সরকার অভিবাসী ব্যয় কমানোর চেষ্টা করে যাচ্ছে। যাতে শ্রমিকরা বিনামূল্যেই যেতে পারেন। সৌদিআরব, লেবানন ও জর্ডানের অভিবাসন ব্যয় নির্ধারণ করে দেওয়ার ব্যাপারে আলোচনা চলছে। জর্ডান ও লেবানন সফরের কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এ দুটি দেশ ডাক্তার, নার্স ও বিক্রয়কর্মীসহ বিভিন্ন খাতে শ্রমিক নেওয়ার আগ্রহ দেখিয়েছে। নুরুল ইসলাম বলেন, লেবাননের জনগণ বাংলাদেশি কর্মীদের পছন্দ করে। কেননা, বাংলাদেশি কর্মীরা অনেক আন্তরিক। সেখানে প্রায় ২০ থেকে ৫০ হাজার কর্মীর চাহিদা রয়েছে। কর্মী প্রেরণ বিষয়ে উভয় দেশে দ্রুত একটি সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর করবে বলে জানান তিনি। লেবাননের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, লেবানন অনিয়মিত বাংলাদেশি কর্মীদের বিনা জরিমানায় দেশে ফেরার সুযোগ দেওয়া হবে। বিনা ভিসায় অবস্থানকারী নারী কর্মীদের জরিমানা পরিশোধ ছাড়াই দেশে প্রত্যাবর্তনে আশ্বাস দিয়েছে দেশটি। উল্লেখ্য, দেশটিতে ১ লাখ ৪২ হাজারের বেশি কর্মী বিভিন্ন কাজে নিয়েজিত রয়েছে।
জর্ডান সফর প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, জর্ডানের শ্রমমন্ত্রীর সঙ্গে তার বৈঠকে বাংলাদেশি কর্মীদের সঠিক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সেদেশে পাঠানোর বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। তাছাড়া গৃহকর্মীদের সঠিক প্রশিক্ষণ, ত্রুটিমুক্ত মেডিকেল চেকআপ, মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য কমানো, গৃহকর্মীদের সুরক্ষা দেওয়াসহ নানা বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। জর্ডানে বর্তমানে ১ লাখ ২৫ হাজারের বেশি শ্রমিক বিভিন্ন ধরনের কাজে নিয়োজিত আছে বলে জানান তিনি। সম্পাদনা: আ. হাকিম