নিজস্ব প্রতিবেদক : এসপি বাবুল আকতারের পদত্যাগপত্র স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে রয়েছে। খুব শিগগির এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এদিকে, বাবুলের জীবন নিয়ে শঙ্কিত তার শ্বশুর সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা মোশাররফ হোসেন। পুলিশের চাকরি না থাকলে যেকোনো সময় সন্ত্রাসীরা তাকে মেরে ফেলতে পারে- এমন আশঙ্কায় রয়েছেন তিনি। বাবুল আকতারের পদত্যাগ নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় তিনি এসব কথা বলেন।
সম্প্রতি দেশের বেসরকারি চ্যানেল ইন্ডিপেনডেন্ট টেলিভিশনকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানান, বাবুল আকতারের পদত্যাগপত্র পেয়েছেন তিনি। বাবুল আকতার নিজেই পদত্যাগপত্র দিয়েছেন। এ ব্যাপারে শিগগির সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
পদত্যাগপত্র ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যের বিষয়ে এসপি বাবুল আকতারের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে বাবুলের শ্বশুর মোশাররফ হোসেন বলেন, বাবুল আকতারের পদত্যাগ নিয়ে এতোদিন বিভিন্ন গণমাধ্যমে দেখেছি। যে সই করেছে বা যে সই নিয়েছে বা দিয়েছে, যাই করেছে তারাই ভালো জানেন।
তিনি বলেন, চাকরির মূল মালিকতো সরকার। সরকারের প্রতিনিধি হচ্ছে পুলিশ প্রশাসন। আপনি, আমিতো কিছু না। যেহেতু সরকারের প্রতিনিধি বা সরকারের মন্ত্রী বলেছেন, দেখা যাক ফলাফল কী আসে।
মোশাররফ হোসেন বলেন, মিতু হত্যার কারণে যদি বাবুল আকতারকে চাকরি ছাড়ানো হয়, তাহলে সন্ত্রাসীরা তাকে মেরে ফেলবে। জেলখানায় গিয়েও সে বাঁচতে পারবে না। সেখানেও সন্ত্রাসীরা তাকে মেরে ফেলবে। তার মৃত্যু অবধারিত। এখন কোনভাবে তার মৃত্যু হবে, সেটা আল্লাই ভালো জানেন। আপাতত তার বাঁচার উপায় হচ্ছে তার চাকরিটা থাকা। এতে কিছুদিন যদি সে বেঁচে থাকতে পারে। আর সে নিজেও যদি চাকরি ছাড়ে তাহলেও তার জীবন বাঁচবে না। তিনি বলেন, ঘরে যে তার দুই শিশু সন্তান আছে, তারা যখন বুঝতে শিখবে, ম্যাচিওরিটি আসবে, তাদের বয়স যখন ১৫-২০ বছর হবে, তখন তারা জানতে চাইবে তাদের মায়ের হত্যার বিষয়টি। তারাতো এখনই নানা প্রশ্ন করে। জানতে চায় অনেক কিছু। তখন তারা তাদের পিতার কাছে জানতে চাইবে, মায়ের হত্যার পর চাকরি ছাড়লা কেনো বা চাকরি গেল কেনো? তখন কী তারা জানবেনা যে, তাদের মাকে খুন করার কারণে সরকার তার চাকরি খেয়েছে বা গেছে। তখনতো এ পোলাপানই তাকে খুন করবে। তার কিন্তু বাঁচার কোনো উপায় নেই। একদিকে সব হারাবে, অন্যদিকে সন্তানদের কাছেও প্রতিনিয়ত প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হবে। সাবেক এ পুলিশ কর্মকর্তা মোশাররফ বলেন, আমিতো বলছি, প্রথমে সন্ত্রাসীরাই তাকে মারবে। আর যদি সন্ত্রাসীদের হাত থেকে রেহাইও পায় তাহলে সন্তানরাই একসময় তাকে মারবে। এখন এ বিষয়গুলো সরকারের কাছে উত্থাপন করা হলো। সরকার যা ভালো মনে করে করবে। সম্পাদনা : পরাগ মাঝি