‘টকশো করে লাভ হবে না, নির্বাচন ২০১৯ সালেই’
রিকু আমির : টকশো করে লাভ হবে না মন্তব্য করে সাংবাদিকদের উদ্দেশে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, টক করে যত যা-ই বলেন, লাভ হবে না। ২০১৯ সালে শেখ হাসিনার অধীনেই নির্বাচন হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে জাতীয় কিডনি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) কিডনি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল শাখা আয়োজিত সভায় মন্ত্রী বলেন, জনগণের সেবা করে, মন জয় করে ২০১৯ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ আবার জয়ী হবে। আবার দেশের সেবা করবে।
খুনিদের সঙ্গে কিসের আপোষ- মন্তব্য করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বেঈমান বিশ্বাসঘাতকদের সঙ্গে কোনো আপোষ হতে পারে না। যেই বঙ্গবন্ধু ক্ষমা করে দেওয়ার জন্য সবসময় প্রস্তুত থাকতেন, সেই বঙ্গবন্ধুর বুকে গুলি চালায় বেঈমানরা। তাদের সঙ্গে আপোষ করলে আমাদের আবারও ক্ষতি হবে।
দীর্ঘ পাঁচ বছর বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা ঝুলিয়ে রাখা হয় উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, সব শেষে বহু কষ্টে শেখ হাসিনার শাসনামলে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার বিচার সম্পন্ন হয়, খুনিদের ফাঁসিও কার্যকর করা হয়। এর মধ্য দিয়ে অনেকের বুকের ব্যথা প্রশমিত হয়। তখন খালেদা জিয়া ও জামায়াত একটি কথাও বলেনি। বলবে কিভাবে, তারা তো সেই খুনিদের সঙ্গে যুক্ত। তারা আবার মানবতার কথা বলে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানবতাবিরোধী অপরাধীদেরও বিচার করেছেন এবং করছেন। বিচার শুরুর সময় কত টকশো দেখলাম। খালেদা জিয়া এ নিয়ে কথাই বলেন না, বক্তৃতা-বিবৃতিও দেন না। উনি আবার দাবি করেন- তার স্বামী নাকি মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। আসলে শেখ হাসিনাই জাতিকে কলঙ্কমুক্ত করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।
অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি বেসামরিক বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যা এমন নয় যে ক্ষমতা লিপ্সুরা তাঁকে হত্যা করে ক্ষমতার স্বাদ গ্রহণ করবে। এটা ছিল রাজনৈতিক হত্যাকা-। এর মাধ্যমে রাজনৈতিকভাবে এগিয়ে যাওয়া বাংলাদেশের গতিকে থামিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তাকে হত্যা করে লাভবান হয়েছিলেন জেনারেল জিয়া ও তার দল বিএনপি। তার দল বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারও বাধাগ্রস্ত করেছিল।
মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুকে যারা হত্যা করেছিলেন, তারা পরবর্তীতে এসেছিলেন, মৌলবাদী হয়েছেন। এরপর জঙ্গি হয়ে, তরুণ প্রজন্মকে বিভ্রান্ত করা শুরু করে।
কিডনি ইনস্টিটিউটের ইউরোলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. কাজী রফিকুল আবেদিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র চিকিৎসক নেতা ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, স্বাচিপের সভাপতি অধ্যাপক ডা. এম ইকবাল আর্সলান, মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এমএ আজিজ প্রমুখ। সম্পাদনা : সৈয়দ নূর-ই-আলম