পাকিস্তানি অর্থ কাশ্মীরে অশান্তিতে ইন্ধন জোগাচ্ছে : এনআইএ
এম রবিউল্লাহ : কাশ্মীর উপত্যকায় ৫ সপ্তাহ ধরে চলতে থাকা অশান্তি ও সহিংসতায় ইন্ধন জোগাচ্ছে পাকিস্তান। ভারতের জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)’র তদন্তে এই তথ্য পাওয়া যায়। এখন পর্যন্ত ১০টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট চিহ্নিত করেছেন গোয়েন্দারা। এই ব্যাংকগুলোতে কয়েক মাসে মোটা অঙ্কের অর্থ জমা পড়েছে। অ্যাকাউন্টগুলোর মালিকদের আয়ের সঙ্গে এই হঠাৎ জমা পড়া অর্থের কোনো সামঞ্জস্য নেই। ভারতের গোয়েন্দাদের ধারণা, এ ধরনের অ্যাকাউন্ট সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। এনডিটিভি
এনআইএ ধারণা করছে, কাশ্মীর উপত্যকায় অশান্তি বজায় রাখতে অন্তত ২৪ কোটি টাকা ঢেলেছে পাকিস্তান। জামায়া-ই ইসলামি ও দুখতেরান-ই মিল্লাতের মত পাকিস্তানপন্থি বিচ্ছিন্নতাবাদী সংস্থাগুলোর মাধ্যমে বেশিরভাগ অর্থ বন্টন করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে দেখা যায়, ওই অর্থ সঙ্গে সঙ্গে বন্টন হয়েছে উপত্যকার নাগরিকের মধ্যে। কিভাবে ওই অর্থ উপত্যকায় আসে আর তা হাতে হাতে বিলি হয়, এনআইএ তা তদন্ত করছে।
এএনআই সবচেয়ে বড় আশঙ্কা, কাশ্মীর উপত্যকায় অশান্তি চলমান থাকবে। নিরাপত্তা রক্ষীদের উপর হামলা চালানোর জন্য কাশ্মীরী যুবকদের হাতে অর্থ দেওয়া হচ্ছে। ভারত ইতিমধ্যেই পাকিস্তানের সহায়তায় লস্কর ই তৈয়বা ও জামাত উদ দাওয়ার মত জঙ্গি গোষ্ঠীগুলো কাশ্মীরে সহিংসতা ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে বলে অভিযোগ করেছে।
গ্রেফতার হওয়া লস্কর জঙ্গি বাহাদুর আলী স্বীকার করেছেন, পাকিস্তানে ঘাঁটি স্থাপনে জঙ্গিদের কাছ থেকে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন তিনি। ভারতের নিরাপত্তারক্ষীদের উপর হামলা চালানোর জন্য কাশ্মীরে পাঠানো হয় তাকে সে গোয়েন্দাদের জানায়।
গত ৮ জুলাই হিজবুল নেতা বুরহান ওয়ানি সেনা বাহিনীর অভিযানে নিহত হয়। ওয়ানির নিহতের মধ্যদিয়ে ৫ সপ্তাহ ধরে সহিংসতা চলছে। এই পর্যন্ত ৬৫ জন নাগরিক নিহত হয়েছে আর আহত হয়েছে ৩ হাজার। কাশ্মীরে জরুরি অবস্থা বলবৎ রয়েছে। সম্পাদনা : রাশিদ রিয়াজ