কলেজছাত্রী আফসানার মৃত্যু শ্বাসরোধে
সুজন কৈরী : রাজধানীর মিরপুর সাইক পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী ও ছাত্র ইউনিয়নের কর্মী আফসানা ফেরদৌসীর মৃত্যু শ্বাসরোধে হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ঢাকা মেডিকেল কলেজের (ঢামেক) ফরেনসিক বিভাগ। এই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আবুল খায়ের মো. সফিউজ্জামান বলেন, আফসানার গলায় দাগ ছিল। তবে এটা আত্মহত্যা না হত্যা এখনই বলতে চাই না। সেটা মন্তব্য করা হয়ে যাবে। তবে আফসানা শ্বাসরোধে নিহত হয়েছেন।
ময়নাতদন্তকারী এই কর্মকর্তা বলেন, ময়নাতদন্তে বিস্তারিত সবই দেখা হয়। প্রথমে তাকে শনাক্ত করা এবং পরবর্তী সময়ে পরিচয় শনাক্ত হওয়ার কারণে আমরা ডিএনএ প্রোফাইলিং করছি।
এছাড়া গলায় অর্ধচন্দ্রকার দাগ থাকার পুলিশি দাবির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এসব আমি আর বলতে চাই না। তবে শ্বাসরোধে মৃত্যু এটা নিশ্চিত। তিনি আরও বলেন, ধর্ষণের কোনও আলামত পাওয়া যায়নি। তিনি অন্তঃসত্ত্বাও ছিলেন না। আত্মহত্যা করলে শারীরিক কী কী পরিবর্তন আসে, তা দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা থেকে তিনি জানেন এবং এক্ষেত্রে সেসব দেখেছেন কিনা জানতে চাইলে সফিউজ্জামান বলেন, এটা বললেই মন্তব্য করা হয়ে যায়। আমি এখন কিছু জানাব না।
এদিকে, পরিবারের পাশাপাশি আফসানার সংগঠন ছাত্র ইউনিয়ন থেকেও দাবি করা হয়েছে, তেজগাঁও কলেজ ছাত্রলীগের নেতা রবিন ও তার সহযোগীরা আফসানাকে হত্যা করেছে। অন্যান্য অনেক ঘটনার মতো এটিকেও আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হবে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেন তারা।
কাফরুল থানার ওসি শিকদার মোহাম্মদ শামীম হোসেন বলেন, শনিবার যখন লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেক মর্গে পাঠানো হয়, তখন তার শরীরে আঘাতের কোনও চিহ্ন পাওয়া যায়নি। কেবল গলায় স্পষ্ট একটা দাগ ছিল।
শনিবার নিহত অবস্থায় পাওয়ার পর থেকে তার পরিবারের কাছে টেলিফোনে সমঝোতার প্রস্তাব যায় তেজগাঁও কলেজের সাংগাঠনিক সম্পাদক হাবিবুর রহমান রুবেলের পক্ষ থেকে। এরপরই আফসানার পরিবার আশঙ্কা করছেন, ক্ষমতাসীন দলের সহযোগী সংগঠনের নেতা হওয়ায় বিভিন্ন রিপোর্ট ও তদন্তে হস্তক্ষেপ করতে পারেন রবিন। সম্পাদনা : পরাগ মাঝি