এম এ আহাদ শাহীন : ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি নূরে আলম সিদ্দিকী বলেছেন, ‘পনেরোই আগস্ট বঙ্গবন্ধু মৃত্যুর আগে তিন ঘণ্টা সময় পেয়েছিলেন। সবার কাছেই সাহায্য চেয়েছিলেন। কেএম শফিউল্লাহর কাছেও চেয়েছিলেন। কিন্তু শফিউল্লাহ এগিয়ে আসেননি। সে একটা বেইমান, বিশ্বাসঘাতক, কাপুরুষ।’
বৃহস্পতিবার প্রাক্তন ছাত্রলীগ ফাউন্ডেশনের আহ্বায়ক নূরে আলম সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন গণফোরাম সাধারণ সম্পাদক মস্তফা মহসিন মন্টু, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরী, সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি মাহমুদুল ইসলাম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক কেএম সাইফুদ্দিন আহমেদ, সাংবাদিক পীর হাবিবুর রহমান প্রমুখ। সভা পরিচালনা করেন ডাকসুর সাবেক ভিপি সুলতান মুহাম্মদ মনসুর আহমেদ।
নূরে আলম সিদ্দিকী বলেন, বঙ্গবন্ধু ১০ জানুয়ারি দেশে ফিরেছিলেন। ওই সময়ে মুজিব ভাইকে আমি বলেছিলাম রাষ্ট্রপতির পদ ছেড়ে জাতির জনক হিসেবে জাতীয় ৪ নেতার মধ্য থেকে কাউকে প্রধানমন্ত্রী বানিয়ে টুঙ্গিপাড়ায় অবস্থান নেওয়ার এবং মহাত্মা গান্ধীর অনুসরণে দলীয় আবর্ত থেকে ঊর্ধ্বে উঠার।
তিনি বলেন, সেক্ষেত্রে জাতির পিতা থাকতেন সব সমালোচনা ও বিতর্কের ঊর্ধ্বে। অথচ দেশ চলত কিন্তু তারই নির্দেশে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেটা হয়নি। কম্যুনিস্টরা তার অজান্তেই তাকে পরিবেষ্টিত করে ফেলল। যার ফলশ্রুতিতেই তার নিহত হওয়ার পরিবেশ তৈরি হয়েছিল। বঙ্গবন্ধু একদলীয় শাসন চালু করেছিলেন কিন্তু সেটা রাশিয়ার প্ররোচনায়। রাশিয়া যাওয়ার পর তার মগজ ধোলাই করা হয়েছিল। আমি বাকশালের বিরোধিতা করেছিলাম। তিনি আমাকে বলেছিলেন তিনটি বছর সময় দিতে। আমি বিশ্বাস করি, তিনি যদি তা পেতেন তবে আবারও গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিতেন।
স্বাধীন বাংলা ছাত্র পরিষদের আহ্বায়ক নূরে আলম সিদ্দিকী বলেন, আমি এই সরকারের কার্যক্রম সমর্থন করি না। সেদিন করব যেদিন শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারি, লুটেরাদের ফাঁসি দেওয়া হবে, যেদিন গণবাহিনীর নায়কদের সরকার থেকে বিদায় জানানো হবে। সম্পাদনা : ফারুক আলম