দীপক চৌধুরী : রপ্তানিমুখী গার্মেন্টস অ্যাক্সেসরিজ ও প্যাকেজিং শিল্পের জন্য নগদ সহায়তা বা প্রণোদনার দাবি জানিয়েছেন এ খাতের উদ্যোক্তারা।
তারা বলেছেন, এ খাত থেকে ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ৬ দশমিক ১২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য রপ্তানি হলেও এ খাতে কোনো নগদ প্রণোদনা দেওয়া হয়নি। ২০২১ সালের মধ্যে তৈরি পোশাক শিল্প খাতে ৫০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে গার্মেন্টস অ্যাক্সেসরিজ ও প্যাকেজিং শিল্পে নগদ প্রণোদনাসহ সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা জোরদার করা জরুরি।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে আয়োজিত ‘বাংলাদেশে পরিবেশবান্ধব উপায়ে গার্মেন্টস অ্যাক্সেসরিজ ও প্যাকেজিং পণ্য উৎপাদন’ শীর্ষক সেমিনারে তারা এ কথা বলেন। শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন।
শিল্প মন্ত্রণালয় এবং ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সহায়তায় বাস্তবায়নাধীন বাংলাদেশ ইন্সপায়ার্ড প্রকল্পের আওতায় বাংলাদেশ গার্মেন্টস অ্যাক্সেসরিজ অ্যান্ড প্যাকেজিং ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএপিএমইএ) এ সেমিনারের আয়োজন করে।
বিজিএপিএমইএ প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল কাদের খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া। এতে পৃথকভাবে দুটি প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. ফিরোজ ইকবাল ফারুকী এবং সংগঠনের উপদেষ্টা রাফেজ আলম চৌধুরী।
সেমিনারে বক্তারা বলেন, তৈরি পোশাক শিল্প খাতে আমদানি বিকল্প ও মূল্য সংযোজনকারী পশ্চাৎ সংযোগ শিল্প হিসেবে গার্মেন্টস অ্যাক্সেসরিজ ও প্যাকেজিংয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। একসময় দেশীয় গার্মেন্টস শিল্পে শতভাগ আমদানিকৃত অ্যাক্সেসরিজ ও প্যাকেজিং পণ্য ব্যবহার হতো। বর্তমানে দেশে এ খাতে প্রায় দেড় হাজার শিল্পকারখানা গড়ে উঠেছে।
অনুষ্ঠানে শিল্পমন্ত্রী বলেন, গার্মেন্টস অ্যাক্সেসরিজ ও প্যাকেজিং শিল্প খাত একইসঙ্গে আমদানিবিকল্প ও রপ্তানিমুখী শিল্প হিসেবে জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। এ শিল্প বিকাশের ফলে দেশি তৈরি পোশাক শিল্প খাতের মূল্য সংযোজনের সুযোগ বেড়েছে। পাশাপাশি গার্মেন্টস অ্যাক্সেসরিজ ও প্যাকেজিংসামগ্রী উৎপাদনে দেশ স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে। সামগ্রিক গুরুত্ব বিবেচনায় এ শিল্প খাতে ডাবল ইনসেনটিভ দেওয়া উচিত। এটি নিশ্চিত করতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে জোর সুপারিশ করা হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
সেমিনারে অন্যান্যের মধ্যে বাংলাদেশ ইন্সপায়ার্ড প্রকল্পের পরিচালক সুষেন চন্দ্র দাস, বিআইডিএসের সিনিয়র রিসার্স ফেলো ড. নাজনীন আহমেদ ও সংগঠনের দ্বিতীয় সহ-সভাপতি মোহাম্মদ মোয়াজ্জেম হোসেন মতি আলোচনায় অংশ নেন। সম্পাদনা : মোরশেদ