আন্তর্জাতিক ডেস্ক : প্রাক্তন সেনাপ্রধান, এখনকার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জেনারেল ভি কে সিংয়ের বিরুদ্ধে মারাত্মক অভিযোগ আনলেন বর্তমান সেনাপ্রধান জেনারেল দলবীর সিং সুহাগ। সুপ্রিম কোর্টে জমা দেওয়া এক নথিতে যদিও সরাসরি ভি কে সিংয়ের নাম করেননি জেনারেল সুহাগ, তবে স্পষ্ট বলেছেন, তদানীন্তন সেনাপ্রধান রহস্যময় কারণে, ক্ষতিকর উদ্দেশ্যে, অকারণে শাস্তি দিতে তার পদোন্নতিতে বাগড়া দিয়েছিলেন। এই প্রথম দেশের কোনো সেনাপ্রধান তার পূর্বসূরির বিরুদ্ধে এমন চাঞ্চল্যকর অভিযোগ শীর্ষ আদালতকে জানালেন। যদিও জেনারেল সুহাগের এই বক্তব্য নতুন নয়। ২০১২ সালে সামরিক আদালতের সামনে একই কথা বলেছিলেন। আজকাল
২০১১ সালে আসামের জোরহাটে সেনাবাহিনীর এক গোলমেলে তল্লাশি অভিযানের জন্য তাকে দায়ী করেছিলেন তখনকার সেনাপ্রধান ভি কে সিং। ‘আদেশ পালন ও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতা’র অভিযোগ আনা হয়েছিল। সেনাবাহিনীতে দলবীর সিং সুহাগের উপর শৃঙ্খলা ভঙ্গ এবং দুর্নীতির দায়ে নিষেধাজ্ঞা আরোপিত হয়েছিল। তখনও সেনা আদালতে সরাসরি জেনারেল সিংয়ের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত চক্রান্তের অভিযোগ আনেন দলবীর। ২০১১ সালের ২০ ডিসেম্বর জোরহাটের ওই বিতর্কিত সেনা তল্লাশির ঘটনায় এক সেনা ঠিকাদারের স্ত্রী এবং তিন সন্তানের চোখে কাপড় বেঁধে বাড়ি থেকে টাকাকড়ি, সোনাদানা এবং অস্ত্র লুট করেছিল মুখোশপরা কিছু লোক, যাদের পরনে ছিল সামরিক উর্দি। জঙ্গি যোগসাজশের অভিযোগ ছিল ওই ঠিকাদারের বিরুদ্ধে। দলবীর সিং সুহাগ সেসময় আসামে সেনাবাহিনীর জেনারেল কম্যান্ডিং অফিসার। ঘটনার দায় তার উপর এসেই পড়ে। তাকে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেন সেনাপ্রধান ভি কে সিং। জেনারেল সুহাগ জানান, তিনি ছুটিতে ছিলেন ২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত। ২৬ তারিখ তিনি কাজে যোগ দেন। কাজেই তাকে দায়ী করা যায় না। তাও তার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপিত হয়, যার জেরে আটকে যায় তার পদোন্নতি। ২০১২ সালে জেনারেল বিক্রম সিং নতুন সেনাপ্রধান হওয়ার পরই উঠে সেই নিষেধাজ্ঞা। তার পদোন্নতিও হয়। কিন্তু সেই পদোন্নতিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে যান লেফটেনান্ট জেনারেল রবি দস্তানে, যিনি ছিলেন ওই পদের আরেক দাবিদার। তবে আসামের ওই ঘটনায় তার বিরুদ্ধে একটি প্রমাণও জোগাড় করতে পারেনি সেনা কর্তৃপক্ষ। সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদ