রফিক আহমেদ : শারীরিক চেকআপের জন্য লন্ডনে গেছেন প্রখ্যাত সাংবাদিক, দেশের প্রথম ট্যাবলয়েড দৈনিক মানবজমিনের প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী। গতকাল বৃহস্পতিবার পূর্ব-পশ্চিম অনলাইন নিউজপোর্টালকে তিনি এ কথা জানান। চিকিৎসকের সিরিয়ালের জন্য তাকে দীর্ঘদিন লন্ডনে থাকতে হবে। দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে তিনি লন্ডনে আছেন। মতিউর রহমান চৌধুরীর একমাত্র ছেলে মিশু চৌধুরী বার-অ্যাট-ল পাস করে লন্ডনে আছেন। তার স্ত্রী শিশু সাহিত্যিক, ছড়াকার ও সংবাদপাঠিকা মাহবুবা চৌধুরীও তার সঙ্গে লন্ডন রয়েছেন।
দীর্ঘদিন বিদেশ থাকা ও নীরবতা নিয়ে সাংবাদিক মহল ও তার ভক্তরা কৌতুহলী হয়ে উঠছিলেন। এক সময়ের প্রভাবশালী দৈনিক ইত্তেফাকের জাঁদরেল কূটনৈতিক প্রতিবেদক হিসেবে এবং দেশের প্রথম সাংবাদিক হিসেবে ১৯৮৬ সালে ইতালির বিশ্বকাপ ফুটবল কাভার করে আলোচিত হয়েছিলেন তিনি।
সেনা শাসনামলে লেখালেখির কারণে এরশাদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মেজর জেনারেল মাহমুদুল হাসানের অগ্নিরোষেই শুধু পড়েননি, তার গাড়িটিও উঠিয়ে নেওয়া হয়েছিল। ১৯৯১ সালে বিএনপি শাসনামলে জেল খাটেন। মুক্তিযুদ্ধের আগে মৌলভীবাজার কলেজ ছাত্র সংসদের ভিপি নির্বাচিত হয়েছিলেন। ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় রাজনীতিতেও ঠাঁই নিয়েছিলেন। বিলুপ্ত ‘বাংলার বাণী’র প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক শেখ ফজলুল হক মণি তাকে সাংবাদিকতায় আনার পর রাজনৈতিক বৃত্তের বাইরে পেশাদারিত্বের ওপর সাংবাদিকতাকেই গ্রহণ করেছিলেন।
ভয়েজ অব আমেরিকার ঢাকার সংবাদদাতা মতিউর রহমান চৌধুরী বিলুপ্ত বাংলা বাজার পত্রিকারও প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ছিলেন। চ্যানেল আই’য়ে রাত ১২টায় জনপ্রিয় টকশো গ্রামীণফোন আজকের সংবাদপত্র সঞ্চালনা করে দর্শকনন্দিত হন। কিন্তু দর্শকরা দুইমাস ধরে মধ্যরাতে চ্যানেল আই’য়ের পর্দায় চোখ রেখে প্রশ্ন তুলছেন- মতিউর রহমান চৌধুরী কোথায়? আপাদমস্তক এই সিনিয়র সাংবাদিক কি কোনো চাপের মুখে দেশ ছেড়ে থাকত বাধ্য হচ্ছেন? সম্পাদনা : পরাগ মাঝি