জাফর আহমদ : পরাজিত শক্তি আজ দেশে সন্ত্রাসী ও জঙ্গি নামে সন্ত্রাস সৃষ্টি করছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি ম-লীর সদস্য ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী মো. নাসিম। তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধে পরাজিত শক্তি ও পরবর্তীতে শেখ হাসিনার অগ্রযাত্রাকে বাধা দিতে যারা ব্যর্থ হয়েছে তারাই বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে। গতকাল রাজধানীর খামার বাড়িতে কৃষিবিদ ইনিস্টিটিউট মিলনায়তনে কৃষি মন্ত্রণালয় আয়োজিত শোক দিবস ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। কৃষি সচিব মোহাম্মদ মঈন উদ্দিন আব্দুল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন, কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী।
নাসিম বলেন, ১ জুলাই হলি আর্টিজানে জঙ্গিরা যখন পুলিশ ও বিদেশিদের হত্যা করছে, শেখ হাসিনা যখন বিনিদ্র রাত জেগে থাকছেন, খালেদা জিয়া তখন হত্যাকা-কে সরকারের বিরুদ্ধে জনগণের অভ্যুত্থান বলে আখ্যা দিয়েছেন। খালেদা জিয়া যে জঙ্গির পক্ষে এটাই তার প্রমাণ।
তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর আইন করে তার বিচার বন্ধ করে দেওয়া হয়। পৃথিবীর কোথাও হত্যার বিচার বন্ধ করতে আইন করা হয় না। যা বাংলাদেশে করা হয়েছিল। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে সেই আইন বাতিল করে বঙ্গবন্ধুর স্বঘোষিত খুনিদের বিচার শুরু করে।
অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তার বক্তব্যে মতিয়া চৌধুরী বলেন, স্বাধীনতার পর রাজকোষে কোনো অর্থ ছিল না। সোনা-দানা লুট করা হয়েছিল। সে সময়েও দেশের সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করে, কৃষকের কথা চিন্তা করে বঙ্গবন্ধু বিনামূল্যে সার, বীজ ও কীটনাশকের ব্যবস্থা করেছিলেন। বিএডিসির মাধ্যমে সেচের ব্যবস্থা করেছিলেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে কৃষির অগ্রযাত্রা থামিয়ে দেওয়া হয়।
১৯৭৪ সালে খাদ্য সংকটের কথা উল্লেখ করে মতিয়া বলেন, আগের বছর ক্ষরার কারণে আউশ ধান মার খেয়েছিল। সে সময় টাকা দিয়েও খাদ্য পাওয়া যায়নি। মাঝপথ থেকে খাদ্য ফিরিয়ে নিয়ে যায় আমেরিকা। তা থেকে শিক্ষা নিয়ে বঙ্গবন্ধু দেশে খাদ্য ফলানোর জন্য কৃষিতে মনোযোগ দেন। যখন বাম্পার ফসল ফলেছে, ফসল কাটার উপক্রম হয় তখনই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়। সম্পাদনা : পরাগ মাঝি