ইসরায়েলের সঙ্গে চুক্তি অনুমোদন তুরস্ক পার্লামেন্টে
ইমরুল শাহেদ : তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী বিনালি ইলদিরিম শনিবার বলেছেন, বিগত ছয় বছরের দ্বন্দ্বের অবসান ঘটিয়ে আঞ্চলিক দুই শক্তি ইসরায়েল ও তুরস্কের মধ্যে গত জুন মাসে স্বাক্ষর হওয়া চুক্তিটিকে অনুমোদন দিয়েছে তুরস্ক পার্লামেন্ট। ২০১০ সালের মে মাসে হামাস শাসিত গাজা উপত্যকায় ইসরায়েল আরোপিত নৌ অবরোধের কারণে ইসরায়েলি মেরিন সেনারা তুরস্কের একটি জাহাজকে ধাওয়া করেছিল। সে সময় গোলাগুলিতে জাহাজে থাকা তুরস্কের ১০ জন নিহত হয়। ইসরায়েল পরে অবশ্য এজন্য তুরস্কের কাছে ক্ষমা চায়। এ ব্যাপারে তুরস্ক আইনগতভাবে ক্ষতিপূরণ দাবি করলে ওই হামলায় আহত ও নিহতদের জন্য ইসরায়েল ২০ মিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণের একটি চুক্তিপত্র সই করে। এছাড়া চুক্তিটির ভিত্তিতে ভূমধ্যসাগরের লাভজনক গ্যাস ব্যবসায় তারা দূত নিয়োগ দিতেও সম্মত হয়।
২৮ জুন স্বাক্ষরিত এই চুক্তিটি ছিল বিভাজিত মধ্যপ্রাচ্যে নতুনভাবে সম্পর্ক স্থাপনের একটি স্মারক এবং ক্রমবর্ধমান নিরাপত্তা হুমকির জন্য পারস্পরিক সমঝোতাও। এর দুই সপ্তাহ পরেই তুরস্কে এক ব্যর্থ সেনা অভ্যুত্থানে ২৪০ জন মারা যায়। চুক্তির শর্তে আঙ্কারা চেয়েছিল গাজার নৌ-অবরোধ প্রত্যাহার হউক। কিন্তু ইসরায়েল সেটা এখনও অক্ষুণœ রেখেছে। সেখানে কোনো ত্রাণ সামগ্রী পাঠাতে হলে তা ইসরায়েলের বন্দর হয়ে গাজায় যাবে। এ ব্যাপারে ইসরায়েলের বক্তব্য হলো, হামাস ও ইসলামী গ্রুপগুলোর অস্ত্র পাচার নিয়ন্ত্রণের জন্যই এই উদ্যোগ। কারণ হামাস ২০১৪ সালে ইসরায়েলের সঙ্গে যে যুদ্ধ করেছিল তা ছিল এই ধরনের অস্ত্রের সহায়তায়ই। ২০০৬ সালে প্যালেস্টাইনিয়ায় পার্লামেন্ট নির্বাচনে বিজয়ী হামাস জাতিসংঘ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের তালিকায় সন্ত্রাসী প্রতিষ্ঠান হিসেবে তালিকাভুক্ত। সূত্র : রয়টার্স। সম্পাদনা: আ. হাকিম