শাশুড়ির প্রশ্ন বাবুলের তো জমা টাকা নেই, কী করে খাবে সে?
মাসুদ আলম : ‘বাবুল চাকরি না করলে কী করে খাবে? তার দুটি সন্তান রয়েছে। তার তো জমা টাকা নেই। এখন সরকার যদি সন্তান দুটির মুখের দিকে তাকায়’- গতকাল শনিবার দুপুরে রাজধানীর মেরাদিয়ার ভূইয়াপাড়ায় নিজ বাসায় এ প্রতিবেদককে এভাবে বলছিলেন পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারের শাশুড়ি সাহিদা আক্তার। তিনি বলেন, ‘২৪ জুন পরিস্থিতির শিকার হয়ে অনিচ্ছাকৃতভাবে বাধ্য হয়ে বাবুলকে চাকরির অব্যাহতিপত্রে স্বাক্ষর করতে হয়েছে। তখন বাবুলকে বলা হয়েছিল, চাকরি ছাড়বে নাকি জেলে যাবে? বাবুলকে তো পুলিশ সদর দফতরে নিয়ে যাওয়া হয়নি। তাকে ডিবি কার্যালয়ে আটকে রেখে স্বাক্ষর নেওয়া হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘মিতু হত্যাকা-ের পর থেকে বাবুল আমাদের মেরাদিয়া ভূইয়াপাড়া বাসাতেই থাকছে। সারাক্ষণ সন্তানদের লালন-পালন করছে। এক মুহূর্তের জন্য সন্তানদের রেখে বাইরে যেতে পারে না বাবুল। বাইরে গেলে সন্তানদের নিয়ে যায়। মিতু হত্যাকা-ের পর থেকে বাবুল ও তার দুই সন্তান নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে। মিতুর জন্য তার সন্তানরা প্রতিনিয়তই কান্না করে। পরে অনেক বুঝিয়ে তাদের শান্ত করা হয়। পুরো বাড়িতেই যেন কান্নার শব্দ শুনতে পাই।’
‘মিতুকে নিয়ে প্রতিদিনই তার সন্তানদের কাছে মিথ্যা বলতে হয়। যখন তারা জিজ্ঞেস করে, তাদের মা কোথায়, তখন বলি, আকাশে। তারা বলে, আর কতদিন আকাশে থাকবে- এমন প্রশ্নের জবাবে বলা হয়, তোমরা বড় হলেই চলে আসবে’- যোগ করেন তিনি।
গতকাল শনিবার সকালে বাবুল সন্তানদের নিয়ে তার বোনের বাসায় যান। এছাড়া মাঝেমধ্যে সন্তানদের নিয়ে বনশ্রীতে ঘুরতে যান।
সাহিদা আক্তার আরও বলেন, ‘মিতু হত্যাকা-ের পর থেকে বড় ছেলে স্কুলে যাচ্ছে না। বাসার পাশের একটি কোচিং সেন্টারে তাদের নিয়ে যাওয়া হতো। প্রায় ৭ দিন ধরে কোচিংয়ে যাচ্ছে না সে। এছাড়া প্রতি শুক্রবার মিতুর কবর জিয়ারত করে বাবুল।’ সম্পাদনা: মোরশেদ