বাংলাদেশের সঙ্গে আরও ৮ রুটে রেলওয়ে সংযোগ হচ্ছে ভারতের
আনোয়ারুল করিম : চলমান তিনটি রুটের বাইরে বাংলাদেশ-ভারত আরও আটটি রুটে রেলওয়ে সংযোগ স্থাপনের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে। এর মধ্যে আসামের বরাক উপত্যকার করিমগঞ্জের মহিশাসন থেকে বাংলাদেশের শাহবাজপুর লাইন রয়েছে। এছাড়া ত্রিপুরার আগরতলা থেকে আখাউড়া এবং পশ্চিমবঙ্গের রাধিকারপুর থেকে বাংলাদেশের বিরল, বনগাঁ থেকে বাংলাদেশের যশোর-খুলনা ও হলদিবাড়ি থেকে বাংলাদেশের চিলাহাটি রেলপথ খুব দ্রুতই চালু হচ্ছে। এর বাইরে বুড়িমারি থেকে চেংরাবান্ধা, বিলোনীয়া থেকে ফেনী এবং শিলিগুড়ি থেকে বাংলাবান্ধা রেলরুটেও ট্রেন চলাচল করার জন্য দুই দেশের মধ্যে আলোচনা চলছে।
বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে বর্তমানে সিঙ্গাবাদ-রোহানপুর, গেদে-দর্শনা এবং পেট্রাপোল-বেনাপোলের মধ্যে দিয়ে তিনটি রুটে ট্রেন চলাচল করে।
চালু থাকা তিনটির বাইরে আটটি নতুন রুটে বাংলাদেশ ও ভারত রেল সংযোগ চালু করার প্রক্রিয়া চলছে। যার মধ্যে খুলনা-কলকাতা (বনগাঁ হয়ে) এবং আগরতলা-আখাউড়া যাত্রীবাহীসহ মাল ট্রেন এবং রাধিকাপুর-বিরল রুটে শুধু মালবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হতে যাচ্ছে। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ১৯৬৫ সালে পাক-ভারত যুদ্ধ পর্যন্ত ৮টি রুটে রেল যোগাযোগ ছিল। যুদ্ধের পর এসবের অনেকগুলো বন্ধ হয়ে যায়। শেখ হাসিনা ২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর নয়াদিল্লীর কংগ্রেস সরকারের সঙ্গে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যের পুরনো রেলরুটগুলো আবারও চালুর উদ্যোগ নেয়। এছাড়া আগরতলা ও আখাউড়ার মধ্যে রেলসংযোগ স্থাপনেরও পরিকল্পনা নেওয়া হয়।
বাংলাদেশ রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকাঠামো) রফিকুল ইসলাম জানালেন, এই রুটগুলোর মধ্যে দুইটি এই বছর ও আগামী বছরের মধ্যেই চালু হচ্ছে। রুট দুইটি হলো : ভারতের রাধিকাপুর থেকে বিরল রুটের মালামাল পরিবহন এবং কলকাতা-খুলনা রুটে যাত্রীবাহী ট্রেন চালু। রেলওয়ের আধিকারিক রফিকুল আরও জানালেন, আসামের করিমগঞ্জের মহিশাসন থেকে বাংলাদেশের শাহবাজপুর, আগরতলা-আখাউড়া এবং হলদিবাড়ি থেকে চিলাহাটি রুটে প্রথম পর্যায়ে শুধু মাল ট্রেন যাতায়াত করবে। ভবিষ্যতে এসব রুটে যাত্রী ট্রেন চালু করারও পরিকল্পনা রয়েছে। সম্পাদনা : রিমন মাহফুজ