মোবাইল ব্যাংকিংয়ে প্রতিদিন ৭০০ কোটি টাকা লেনদেন হচ্ছে : শুভঙ্কর সাহা
জাফর আহমদ : মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে প্রতিদিন সাতশ কোটি টাকা লেনদেন হচ্ছে। এক কোটির বেশি গ্রাহক প্রায় ৪২ লাখ ট্র্যানজেকশনের মাধ্যমে এসব লেনদেন করছেন। গতকাল এ তথ্য জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক শুভঙ্কর সাহা। রাজধানীর হোটেল লেক শোর-এ অনুষ্ঠিত ‘অ্যান্টি-মানি লন্ডারিং অ্যান্ড কমব্যাটিং ফাইন্যান্সিং অব টেরোরিজম (এএমএল অ্যান্ড সিএফটি)- রেলিভ্যান্স, চ্যালেঞ্জেস অ্যান্ড প্রাকটিক্যাল মেজারস’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শুভঙ্কর সাহা বলেন, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে ব্যাংকিং সেবার আওতায় আনার জন্য মোবাইল ব্যাংকিং কার্যক্রম শুরু করে বাংলাদেশ। এজন্য ২৯টি বাণিজ্যিক ব্যাংককে মোবাইল ব্যাংকিং-এর জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়। এরমধ্যে ২৫টি ব্যাংক মোবাইল ব্যাংকিং শুরু করে। এদের মাধ্যমে প্রতিদিন প্রায় সাতশ কোটি টাকা লেনদেন হচ্ছে। এক বিকাশের মাধ্যমেই লেনদেন হয় ৯০ ভাগ। বাকি ১০ ভাগ হচ্ছে ২৪টি ব্যাংকের মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে। এক্ষেত্রে বিশ্বে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বাংলাদেশের মোবাইল ব্যাংকিং। মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস প্রদানকারীদের উদ্দেশে এএমএল অ্যান্ড সিএফটি সংক্রান্ত বিধিমালার গুরুত্ব তুলে ধরে তা কঠোরভাবে মেনে চলার উপর পরামর্শ দেন শুভঙ্কর সাহা।
কামাল কাদীর বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক ও অন্যান্য নিয়ন্ত্রক সংস্থার সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে এএমএল অ্যান্ড সিএফটি সংক্রান্ত বিধিমালা সম্পূর্ণভাবে পরিপালন করছে বিকাশ এবং এক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানটি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
মেজর জেনারেল (অব.) শেখ মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, ২০১১ সালে কার্যক্রম শুরু করা বিকাশ দেশের বিশাল জনগোষ্ঠীকে মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস প্রদান করে চলেছে। বিকাশ-ব্র্যাক ব্যাংক, ইউএসভিত্তিক মানি ইন মোশন, ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের অন্তর্গত প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল ফিন্যান্স কর্পোরেশন এবং বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন-এর যৌথ মালিকানাধীন একটি প্রতিষ্ঠান।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সহযোগিতায় ব্র্যাক ব্যাংকের মোবাইল ব্যাংকিং শাখা আয়োজিত সেমিনারে এক কর্মশালয় মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ফিন্যান্সিয়াল ইন্টিলিজেন্স ইউনিট (এফআইইউ) ডেপুটি ডিরেক্টর আল-আমিন রিয়াদ। বক্তব্য রাখেন, বিকাশ-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কামাল কাদীর। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন বিকাশ-এর চিফ এক্সটারনাল অ্যান্ড কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার অ্যান্ড চিফ অ্যান্টি মানি লন্ডারিং অ্যান্ড কমপ্লায়েন্স অফিসার মেজর জেনারেল (অব.) শেখ মো. মনিরুল ইসলাম। সম্পাদনা : আ. হাকিম