বেলুচিস্তানের স্বাধীনতার প্রতি বাংলাদেশের নৈতিক সমর্থন থাকা উচিত
আশিক রহমান : ইতিহাসবিদ ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন বলেছেন, ‘বেলুচিস্তানের স্বাধীনতার প্রশ্নটি অনেকদিন ধরেই প্রাসঙ্গিক- যখন থেকে বাংলাদেশ স্বাধীনতার কথা বলছিল, সংগ্রাম করছিল। এখন নৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে বেলুচিস্তানের স্বাধীনতাকে সমর্থন করার যুক্তিসঙ্গত কারণ রয়েছে। কেননা, পাকিস্তান বহুদিন ধরে সেখানে শোষণ, অত্যাচার, নিপীড়ন ও নির্যাতন চালিয়েই যাচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘কূটনৈতিকভাবে বললে বেলুচিস্তান একটি দেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার, সেটাই পাকিস্তান বলবে। একাত্তরে বাংলাদেশের ব্যাপারেও পাকিস্তান বলেছিল, এটা অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। কূটনৈতিক নয়, নৈতিক দিক থেকে মানবাধিকারের প্রশ্নে নরেন্দ্র মোদির অবস্থান সঠিক। বাংলাদেশেরও নৈতিক সমর্থন দেওয়া উচিত। কারণ, বাংলাদেশও অভিন্ন অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে গেছে।’
সিপিবির প্রেসিডিয়াম সদস্য হায়দার আকবর খান রনো বলেন, ‘বেলুচিস্তানে স্বাধীনতার সংগ্রামরত জনগণ যে স্বায়ত্তশাসন, স্বাধিকার ও মুক্তির জন্য সংগ্রাম করছে, তার প্রতি আমার সহানুভূতি, নৈতিক সমর্থন রয়েছে। আমরা যখন পাকিস্তানের অংশ ছিলাম, তখনো বেলুচিস্তানে বোম্বিং হয়েছে, অত্যাচার-নির্যাতন হয়েছে। এ অত্যাচার, নির্যাতন, শোষণ কোনোভাবে গ্রহণযোগ্য নয়।’ তিনি বলেন, ‘ভারত যে সমর্থন দিয়েছে, তা রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে। ভূ-রাজনৈতিক সুবিধার জন্য হয়তো করেছে। ভারত আর আমাদের সমর্থনের কারণ ভিন্ন।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. এম শাহীদুজ্জামান বলেন, ‘এ ধরনের কথা কেবল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকেই বলা সম্ভব। বেলুচিস্তানের স্বাধীনতার আকাক্সক্ষার প্রতি সমর্থনের কোনো ইঙ্গিত তো ছিল না বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতিতে। তথ্যমন্ত্রীকে কে এই অধিকার দিয়েছে? এটা সম্পূর্ণ অযাচিত মন্তব্য। এ ধরনের মন্তব্য সরকারকে চরম বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলবে। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীও এ ধরনের কথায় বিব্রতবোধ করবেন।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের বেলুচিস্তানকে সমর্থন দেওয়া উচিত কি অনুচিত, তা নিয়ে কথা বলতে চাই না। এ রকম সমর্থন দিতে গেলে তো দুনিয়ার সব রাষ্ট্রই ভেঙে যাবে। কোনো রাষ্ট্রই তো আর অখ- থাকবে না। এ রকম করতে গেলে তো ভারতের অর্ধেক চলে যাবে।’ সম্পাদনা : রিমন মাহফুজ