জাহিদুল কবীর, যশোর : যশোরে শুক্রবার মধ্যরাতে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত দুজনের পরিচয় মিলেছে। তারা হলেনÑ যশোর শহরতলী খোলাডাঙ্গা এলাকার আব্বাস গাজীর ছেলে হাবিব গাজী (২২) এবং খুলনার ফুলতলা গাড়াখোলা গ্রামের আব্দুর রশীদ বিশ্বাসের ছেলে আজীম বিশ্বাস (২৮)।
নিহত হাবিবের পরিবারের দাবি, পুলিশ তাকে গত বৃহস্পতিবার রাতে আটক করে নিয়ে যায়। পুলিশই হাবিবকে হত্যা করেছে। নিহত হাবিবের ভাই আসাদ গাজী জানান, গত বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে খোলাডাঙ্গা এলাকা থেকে পুলিশ ভাই হাবিব গাজীসহ পাঁচজনকে আটক করে। বাকিরা হলেনÑ একই এলাকার ইসলামের ছেলে মিঠুন, আব্দুল গণির ছেলে আব্দুল আজিজ, লুকমানের ছেলে হোসেন এবং সোহেল। পুলিশ হাবিবকে আটক করেছে শুনে আমরা থানায় ছুটে যাই। সেখানে পুলিশ হাবিবের আটকের কথা অস্বীকার করে। বাকি চারজনের মধ্যে হোসেন ও সোহেল নামে দুজনকে ছেড়ে দিয়ে আব্দুল আজিজ ও মিঠুনকে আদালতে পাঠায়।
আসাদ গাজী জানান, শনিবার সকালে লোকমুখে জানতে পারি শহরের পৌরপার্ক ও যশোর-বেনাপোল মহাসড়কের নতুনহাট এলাকা থেকে গুলিবিদ্ধ লাশ দুটি উদ্ধার করে যশোর কোতোয়ালি থানা পুলিশ। পরে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে গুলিবিদ্ধ একজনকে হাবিব বলে শনাক্ত করি।
নিহত অপর যুবকের নাম আজীম বিশ্বাস। বাড়ি ফুলতলায়। আজীম বিশ্বাসের স্ত্রী নাজমা বেগম বলেন, গত রোববার পুলিশ পরিচয়ে আটক করে নিয়ে যায় আমার স্বামীকে।
তবে কোতোয়ালি পুলিশ বলছে তারা এ নামে কাউকে আটক করেনি। গোলাগুলির খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে হাসপাতালে আনে।
যশোর জেনারেল হাসপাতালের ডাক্তার কাজল কান্তি মল্লিক জানান, কোতোয়ালি থানার পুলিশ গভীর রাতে দুইদফায় অজ্ঞাত দুই যুবককে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে আনে। দুই যুবকের মাথার ডানপাশে গুলিবিদ্ধ ছিল। হাসপাতালে আনার আগেই তাদের মৃত্যু হয়।
যশোর কোতোয়ালি থানার ওসি ইলিয়াস হোসেন নিহত হাবিবের নামে ৯টি মামলা রয়েছে বলে জানান। সম্পাদনা : প্রিয়াংকা