এম কবির : বিএনপির নতুন কমিটি ঘোষণা হওয়ার পর সম্প্রতি পাঁচ মামলায় দলের ১০৮ নেতা গ্রেফতারি পরোয়ানা মাথায় নিয়ে ঘুরছেন। এদের মধ্যে দলের বেশ কয়েকজন সিনিয়র নেতা রয়েছেন। ইতোমধ্যে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
জানতে চাইলে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, এটা নতুন কোনো ঘটনা নয়। আমাদের সকল নেতাই মামলায় জর্জরিত। দলের মধ্যে এমন কোনো নেতা নেই, যার নামে ২০/২৫টি মামলা নেই। দলের নেতাকর্মীদের সপ্তাহে তিন চার দিন কোর্টে যেতে হয়। তাই নতুন করে বলার কিছু নেই। আমরা আইনের প্রতিশ্রদ্ধাশীল। এসব মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা টিকবে না। ন্যায় বিচার পেলে আমাদের জয় হবে।
এদিকে রাজধানীর মতিঝিল থানার বিস্ফোরক আইনের মামলায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমানসহ ৬৭ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। এছাড়া রাজধানীর পল্টন থানার নাশকতার মামলায় বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেলসহ ২১ জনের বিরুদ্ধে পরোয়ানা রয়েছে। আসামিরা হলেন- মারুফ কামাল খান সোহেল, শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, শিরিন সুলতানা, মীর সরাফত আলী সপু, আজিজুল বারী হেলাল, কাইয়ুম কমিশনার, লতিফ কমিশনার প্রমুখ। পল্টন থানার মামলায় পরোয়ানা নিয়ে ঘুরছেন যুবদলের সেক্রেটারি সাইফুল ইসলাম নীরব, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু ও শফিউল বারী বাবু। রাজধানীর দারুস সালাম থানায় নাশকতার পাঁচ মামলায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন নবী খান সোহেলসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতাারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। এই মামলায় আসামিরা হলেন- ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, বিএনপি নেতা মীর সরাফত আলী সফু, মারুফ কামাল খান সোহেল ও সৈয়দা আসিফা আশরাফি পাপিয়া। পল্লবী থানায় করা বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের একটি মামলায় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ নয়জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। সম্পাদনা : রিমন মাহফুজ