অঘোর মন্ডল
উসাইন বোল্ট-এর রেজাল্টই বলে দেয়, তার অমরত্ব লাভ করার দাবি কতটা যৌক্তিক। তিনি আসলে অমরত্ব পাওয়ার ক্ষেত্রটি প্রস্তুত করতে সক্ষম হয়েছেন। পরপর তিনটি অলিম্পিকের প্রতিটি ইভেন্টে স্বর্ণ জয় করা সহজ কাজ নয়। যেটা উসাইন বোল্ট যত সহজে করতে সক্ষম হয়েছেন। অমরত্বের পর্যায়ে না যেতে পারলেও খুবই কাছাকাছি যেতে সমর্থ হয়েছেন।
আসলে অমরত্ব বলতে যা বোঝায় তা শুধু খেলার মাঠে নয়, সমাজের অন্যান্য স্থানেও সামাজিক উন্নয়নের জন্য কাজ করতে হয়। যেটি করতে সমর্থ হয়েছিলেন পেলে, মোহাম্মদ আলী ও অন্যান্য অমরত্ব লাভকারী খ্যাতিমান ব্যক্তিবর্গ। উসাইন বোল্ট খেলোয়াড়ি ভূবনে অমরত্ব লাভ করতে পেরেছেন ঠিকই, যেটা তার সাফল্যের মাধ্যমে বোঝা যায়। খেলোয়াড়ি ভূবনে তার সাফল্য নিরিখে তাকে কেউ আর কোনোদিন ভুলতে পারবে না।
মোহাম্মদ আলী ও পেলের মতো খেলোয়াড়ি পর্যায়ে উসাইন বোল্টও পৌঁছে গেছেন। কিন্তু মোহাম্মদ আলী ও পেলেরা যখন অমরত্ব লাভ করেছে, তখন তারা শুধু খেলোয়াড়ি জীবনের মাধ্যমে অমরত্ব লাভ করেননি। তারা খেলার জগৎ থেকে বেরিয়ে সামাজিকভাবে ও জনকল্যাণমূলক নানা অবদানের মাধ্যমে মানুষের কাছে অমরত্ব লাভ করতে সক্ষম হয়েছেন। তাই উসাইন বোল্টও যদি তাদের মতো অমরত্ব লাভ করতে চান তাহলে খেলোয়াড়ি জীবন অতিবাহিত করার পর সমাজের জন্য তিনি কতটা অবদান রাখেন, সেটার ওপর অনেকটা নির্ভর করবে।
পরিচিতি : ক্রীড়া বিশ্লেষক
মতামত গ্রহণ : শরিফুল ইসলাম / সম্পাদনা : জব্বার হোসেন