লিহান লিমা : তুরস্কে দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ গাজিয়ানতেপ প্রদেশে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে বোমা বিস্ফোরণে অন্তত ৫০ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও শতাধিক। আইএস এই হামলা চালিয়েছে বলে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিচেপ তাইপে এরদোগান দাবি করেছেন।
গতকাল শনিবার রাত ১১টার দিকে এই হামলার ঘটনা ঘটে। এরদোগান আরও বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক তুরস্কের বিরোধী দলীয় ও ধর্মীয় নেতা ফেতুল্লাহ গুলেন ও তার সংগঠন ‘ফেতো’, নিষিদ্ধ ঘোষিত কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টি এবং সিরিয়া ভিত্তিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আইএসে মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। গাজিয়ানটেপে আইএসই হামলা করতে পারে।’
এরদোগান এই হামলার নিন্দা জানিয়ে বলেন, ‘আমাদের উপর যারা হামলা করছে তাদেরকে আবারো তুরস্ক একটা বার্তা দিতে চায়। তারা সফল হবে না, তারা কোনোভাবেই তুরস্ককে পরাস্ত করতে পারবে না। গাজিয়ানটেপের হামলার উদ্দেশ্য হল আরব, কুর্দি ও তুর্কিদের মত তুরস্কের বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে বিভেদ এবং জাতিগত ও ধর্মীয় উত্তেজনা সৃষ্টি করা। জাতিগত বিদ্বেষ ছড়ানোর যে উস্কানির চেষ্টা চলছে তা কখনো হতে দেওয়া হবে না। তুরস্কের জনগণ এর পরিবর্তে ঐক্য, সহমর্মিতা ও ভ্রাতৃত্ব প্রদর্শন করবে।
সিরিয়ার যুদ্ধবিধ্বস্ত শহর আলেপ্পো থেকে গাজিয়ানটেপের দূরত্ব ৬০ মাইল। ইইলাস নিউজ এজেন্সিকে গাজিয়ানটেপ ব্যুরো চিফ বলেন, আহত ব্যক্তিদের হাসপাতালে নেয়ার জন্য কমপক্ষে ২০টি অ্যাম্বুলেন্স ব্যবহার করা হয়।
এদিকে তুরস্কের ক্ষমতাসীন জাস্টিজ অ্যান্ড ডেভেলমেন্ট পার্টির(একেপি) এমপি সামিল তায়ার জানিয়েছেন, হামলাটি চালিয়েছে আইএস’এর সন্ত্রাসীরা। আর কুর্দিপন্থি পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টি (এইচডিপি) এমপি জানিয়েছেন, তাদের সদস্যরা এই হামলার লক্ষ্যবস্তু ছিল।
উপমন্ত্রী মেহমেত সিমেক জানিয়েছেন, হামলাটি ছিল আত্মঘাতী। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে তিনি জানান।
দেশটি ক্ষমতাসীন এ কে দলের এক মন্ত্রী বলেছেন, এ হামলার পেছনে ইসলামিক স্টেট (আইএস) জঙ্গিদের হাত থাকতে পারে বলে তিনি বিশ্বাস করেন।
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে তুরস্ক একের পর এক হামলার শিকার হয়েছে। এরআগে পিকেকে’র হামলায় নিরাপত্তা বাহিনীর ৭০ জন নিহত হয়। গত মাসে আঙ্কারায় দুই আত্মঘাতী বোমা হামলাকারীর আঘাতে ৪০ জন নিহত হয়। জুলাইতেই ইস্তাবুলের বিমানবন্দরে আইএস-এর বোমা হামলায় ৪৪ জন নিহত হয়। ১০ আগস্ট খিজিটেপ এবং বাইয়ারবাকিব শহরে দুইটি বিস্ফোরণে ৮ জন নিহত হয়। সম্পাদনা : রাশিদ রিয়াজ