কল্যাণপুরে নিহত ৭ জঙ্গির স্বজনদের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ ১৫ জঙ্গির লাশ এখনো মর্গে
ইসমাঈল হুসাইন ইমু : রাজধানীর কল্যাণপুরের জাহাজ বিল্ডিং (তাজ মঞ্জিল) ও গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে আইন-শৃঙ্খলা ও যৌথ বাহিনীর অভিযানে নিহত ১৫ জঙ্গির লাশ এখনো বেওয়ারিশ হিসেবে মর্গে পড়ে আছে। তবে শিগগিরই এ লাশগুলো আঞ্জুমানই মফিদুল ইসলামের কাছে হস্তান্তর করা হতে পারে। ঢামেক মর্গ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
গুলশানে নিহত পাঁচ জঙ্গিসহ মোট ছয়জনের লাশ সিএমএইচের মর্গে হিমঘরে ৫২দিন ধরে পড়ে থাকলেও তা নিতে আসেনি পরিবার। এছাড়া কল্যাণপুরে জঙ্গি আস্তানায় পুলিশের ‘অপারেশন স্ট্রম-২৬’ এ নিহত ৯ জঙ্গির লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গের হিমঘরে রাখা হয়েছে।
হিমঘরে রাখা কল্যাণপুরে নিহত সাত জঙ্গির স্বজনদের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করে রাখা হয়েছে। এই নমুনা দিয়ে পরিচয় নিশ্চিত করা হবে। এছাড়া মার্কিন পাসপোর্টধারী সেজাদ রউফ অর্কের লাশ ময়নাতদন্তের পরই পরিবারের সদস্যরা নেওয়ার আগ্রহ জানালেও নিতে পারেননি। তবে ডিএমপি পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আরও কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য লাশগুলো রাখা হবে। এসময় কেউ আবেদন না করলে আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামের মাধ্যমে লাশগুলো বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করা হবে।
তবে কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় হামলাকারী পুলিশের গুলিতে নিহত জঙ্গি আবীরের লাশ দাফন করা হয়েছে পুলিশের তত্ত্বাবধানে। পরিবারের কেউই লাশ নেওয়ার জন্য যোগাযোগ না করায় গত ১২ জুলাই সরকারি গোরস্থানে একমাত্র ইমামের উপস্থিতিতে জানাজা শেষে লাশ দাফন করে পুলিশ।
গত ১ জুলাই রাতে গুলশানে ভয়ঙ্কর ওই হামলার পরদিন পাঁচ জঙ্গির লাশসহ দেশি-বিদেশি ২০ নাগরিকের লাশ উদ্ধার করেন সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা। ময়নাতদন্তের জন্য সেদিনই লাশ নেওয়া হয় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমএইচ) হিমঘরে। পরে নিহত পাঁচ জঙ্গির পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত হয় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। কিন্তু সন্তানের অপকর্মে লজ্জিত হয়ে তাদের বাবা-মা লাশ নেওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেননি।
এ কারণে ঘটনার ৫২ দিন কেটে গেলেও লাশগুলো এখনো পড়ে আছে সিএমএইচের মর্গে। সেখানে যে পাঁচ জঙ্গির লাশ রাখা হয়েছে তারা হলেন, রাহান, নিবরাস, মোবাশ্বির, খায়রুল ও শফিকুল। এছাড়া হলি আর্টিজানের বাবুর্চি সাইফুল ইসলাম চৌকিদারের লাশও সিএমএইচে রয়েছে। ৫ জুলাই সেখানে তাদের প্রত্যেকের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করা হয়েছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (মিডিয়া) মাসুদুর রহমান বলেন, এখন পর্যন্ত আমরা কারও পরিবারের পক্ষ থেকে লাশ গ্রহণের কোনো আবেদন পাইনি। আরও কিছুদিন রাখার পর এই লাশগুলো আঞ্জুমানই মফিদুল ইসলামে হস্তান্তর করা হতে পারে। সম্পাদনা : পরাগ মাঝি