তৃণমূলে সাংগঠনিক কাঠামো শক্তিশালী করতে বিএনপির বৈঠক
শাহানুজ্জামান টিটু : সারাদেশে বিএনপির সামগ্রিক সাংগঠনিক অবস্থা বিশ্লেষণ, পর্যালোচনা, সাংগঠনিকভাবে দলকে শক্তিশালী করা, জেলা, উপজেলা ও পৌর কমিটি গঠন, এক নেতার এক পদ কার্যকর করাসহ দলের গুরুত্বপূর্ণ বেশকিছু বিষয় নিয়ে বৈঠক করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গতকাল সকালে নয়াপল্টনের কেন্দ্র্রীয় কার্যালয়ে এ বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম-মহাসচিব, সাংগঠনিক সম্পাদক ও সহসাংগঠনিক সম্পাদকরা।
দলের একজন যুগ্ম মহাসচিব জানান, বৈঠকে জেলাগুলোর দেওয়া রিপোর্ট বিশ্লেষণ, তৃণমূল পুনর্গঠনের কাজ ফের শুরু করার ওপর বেশি জোর দেওয়া হয়েছে। দলের জাতীয় কাউন্সিলের আগে যে পর্যায়ে পুনর্গঠন স্থগিত করা হয়েছিল সেখান থেকেই আবার কাজ শুরু হবে। এছাড়া বৈঠকে যুগ্ম মহাসচিবদের বিভাগওয়ারি দায়িত্ব দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
তিনি বলেন, যেসব এলাকায় বিএনপির সাংগঠনিক দুর্বলতা রয়েছে সেসব এলাকায় সাংগঠনিক শক্তি বাড়ানোর উদ্যোগ ও করণীয় নিয়ে কথা হয়েছে। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যোগ্য নেতৃত্ব বেছে নেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। এক নেতা এক পদ নিয়ে নতুন করে বলার কিছু নেই। আগেই যে ঘোষণা দেওয়া আছে সেই আলোকেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে বিএনপি।
দলটির বিভাগীয় একজন সাংগঠনিক সম্পাদক বলেন, এটা নিয়মিত বৈঠকেরই অংশ। এর আগেও মহাসচিবের সঙ্গে দলের সাংগঠনিক বিষয় নিয়ে বৈঠক হয়েছে। তৃণমূল পুনর্গঠনে দলের ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাহজাহানকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। যেসব এলাকায় এখনো কমিটি হয়নি সেসব সাংগঠনিক জেলায় দ্রুত কমিটি গঠন বা পুনর্গঠনে তিনি ব্যবস্থা নেবেন। এছাড়া বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদকদের তার কাজে সহযোগিতা করার কথা বলা হয়েছে। তবে জেলা, উপজেলা ও পৌর কমিটিগুলো করার ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট কোনো টাইমফ্রেম নেই।
জানতে চাইলে মোহাম্মদ শাহজাহান বলেন, তৃণমূল পুনর্গঠনের কাজ শুরু হয়েছে। যেখানে স্থগিত ছিল সেখান থেকেই শুরু করা হবে।
সূত্র জানায়, গত ১৯ আগস্ট জাতীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকেও দলকে তৃণমূল থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত পুনর্গঠনের বিষয়ে আলোচনা হয়। দলের ওয়ার্ড, ইউনিয়ন, উপজেলা, জেলা ও মহানগর কমিটির কাঠামো ঠিক করা হয়। প্রতিটি ওয়ার্ডে কমপক্ষে ১০০ জন নিবন্ধিত সদস্য করতে হবে। এছাড়া জেলা ও মহানগরী কমিটি হবে ১৫১ সদস্যের। এর মধ্যে ৭৪টি হবে কর্মকর্তা পর্যায়ের পদ, বাকি ৭৬টি সদস্য পদ। সম্পাদনা: হাসিবুল ফারুক চৌধুরী