সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম
আমি এই আইনের প্রতি খুব একটা পক্ষপাতি না। কারণ, যে মানুষটির হাত ধরে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে তাকে সম্মান করতে আইন লাগবে কেন? যার মাধ্যমে, যাদের মাধ্যমে দেশটি স্বাধীনতা লাভ করেছে, তাদের সম্মান করে না এমন যদি কোনো জাতির সন্তান থাকে তবে আমি বলব, সে মানসিকভাবে পুরোপুরি পরিপক্ক নয় এবং লজ্জাটা তার নিজেরই। তাকে শাস্তি দেওয়ার কোনো প্রয়োজনীয়তা দেখি না। মানুষের অন্তর থেকে স্বাধীনতার মহানায়ককে শ্রদ্ধা করবে না, এটা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। এমন ধরনের মানুষের জন্য অন্তর থেকে শ্রদ্ধা, ভক্তি ও সম্মান আসা উচিত। যার এমন আসবে না সে মানবিক দিক থেকে, মানসিক দিক থেকে নিজের অপূর্ণতার বহিঃপ্রকাশ। সেটার আইন করে জাতির মোকাবিলা করা যাবে বলে আমি মনে করি না।
দেশে কোনো ধরনের আইন হলে তার অপপ্রয়োগ হয়, সঠিক প্রয়োগ সহজে হয় না। যারা বাংলাদেশের নাগরিক মুক্তিযুদ্ধের সময় ছিলেন বা না ছিলেন সেটা বড় কথা নয়। তাদের কাছে মুক্তিযুদ্ধটা একটি সম্মানের বিষয় হওয়া উচিত। সে যে দলেরই রাজনীতি করুক না কেন। যদি তার কাছে মুক্তিযুদ্ধটা কোনো গর্বের বিষয় না হয়ে থাকে, তবে ধরে নিতে হবে তার মধ্যে একটি মৌলিক অপূর্ণতা রয়েছে। সে পরিপূর্ণ মানুষ নয়। তাই সকলের উচিত মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে অসম্মান, অশ্রদ্ধা না করে এসকল বিষয়ে সম্মান, শ্রদ্ধা দেখানো। তাহলেই একটি জাতি তার দেশকে ভালোবাসবে, তার ভবিষ্যৎ প্রজন্মও দেশপ্রেমিক হবে।
পরিচিতি : শিক্ষাবিদ ও কথাসাহিত্যিক
মতামত গ্রহণ : শরিফুল ইসলাম / সম্পাদনা : জব্বার হোসেন