জোট সৈন্যদের কাছাকাছি সিরীয় বিমান উড্ডয়নের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের হুঁশিয়ারি
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সিরীয় সরকারকে হুঁশিয়ার করে পেন্টাগন বলেছে, সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোট বাহিনীর জন্য হুমকি সৃষ্টিকারী বিমান গুলি করে ভূপাতিত করার প্রস্তুতি নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে এলাকাটি বিমান উড্ডয়ন নিষিদ্ধ করার ঘোষণা দেয়নি দেশটি। গত সপ্তাহে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ সরকারের বিমান বাহিনী উত্তর-পূর্বাঞ্চলের হাসাকেহ নগরীতে আইএসের বিরুদ্ধে যুদ্ধরত কুর্দি বাহিনী ও জোটের উপদেষ্টাদের লক্ষ্যে পরিণত করে। এ ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক কর্মকর্তারা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। সিরীয় বিমানকে প্রতিহত করতে দু’দফা জঙ্গি বিমান পাঠায় যুক্তরাষ্ট্র। তবে সেখানে সংঘাতের কোন ঘটনা ঘটেনি। সিরীয় সরকারের বিমান বাহিনীকে প্রতিহত করতে যুক্তরাষ্ট্রের জঙ্গি বিমান পাঠানোর এটা প্রথম ঘটনা। বাসস
পেন্টাগন মুখপাত্র পিটার কুক বলেন, ‘আমরা ওইসব এলাকায় বিমান না পাঠাতে সিরীয় সরকারকে পরামর্শ দিয়ে যাব।’ তিনি বলেন, ‘আমরা স্থলে আমাদের লোকদের সুরক্ষা করবো এবং তাদের রক্ষায় প্রয়োজনীয় সবকিছু করবো।’ হুমকি সত্ত্বেও কুক ‘বিমান উড্ডয়ন নিষিদ্ধ এলাকা’ শব্দটি ব্যবহার করেননি। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রী জন কেরি ও আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক দলীয় প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন বলেন, তারা বিমান উড্ডয়ন নিষিদ্ধ এলাকাকে সমর্থন করেন। তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা সম্পদ ও সৈন্যদের কাজে লাগিয়ে এ ধরণের পদক্ষেপ নেয়ার বিষয়টি আমলে নেননি। কুক বলেন, এটা বিমান উড্ডয়ন নিষিদ্ধ এলাকা নয়। তবে যেসব এলাকায় জোট বাহিনী কাজ করছে সেসব এলাকা এড়িয়ে চলা সিরীয় বাহিনীর জন্য বিচক্ষণতার কাজ হবে। তিনি বলেন, গত বছর থেকে আসাদের সমর্থনে বোমা হামলা চালিয়ে আসা রাশিয়ার বিমানের জন্যও এ সতর্কবাণী থাকবে।
কুক বলেন, তারা যদি মার্কিন বাহিনীর জন্য হুমকি হয়, তাহলে আমাদের বাহিনীকে রক্ষা করার অধিকার আমাদের আছে। যুক্তরাষ্ট্র শুধু জোটের উপদেষ্টাদের নয়, অংশীদার বাহিনী এ অর্থে কুর্দি যোদ্ধাদেরও রক্ষা করবে। সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদ