চার বিচারকের বহিষ্কারের বিষয়টি কার্যকর করবে আইন মন্ত্রণালয়
নাশরাত আর্শিয়ানা চৌধুরী : সুপ্রিম কোর্ট দুর্নীতি ও বিচারবিভাগীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে চার বিচারককে চূড়ান্তভাবে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর আইন মন্ত্রণালয় এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সূত্র জানায়, সুপ্রিম কোর্ট যে চার বিচারককে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ওই চার বিচারকের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অসদাচরণের অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণ পেয়েছেন। এজন্য এই কথা জানিয়ে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করতে আইন মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছিলেন সুপ্রিম কোর্ট। সেই হিসেবে আইন মন্ত্রণালয় ব্যবস্থা নিচ্ছে।
আইন মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানায়, সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্ত জানার পর আইন মন্ত্রণালয় এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে। যাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে তারা হলেন, কুমিল্লার সাবেক নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা জজ) এসএম আমিনুল ইসলাম, জামালপুরের সাবেক অতিরিক্ত জেলা জজ মো. সিরাজুল ইসলাম, ঠাকুরগাঁওয়ের সাবেক জেলা জজ মো. রুহুল আমিন খোন্দকার ও খুলনার সাবেক অতিরিক্ত জেলা জজ মঈনুল হক। তারা এখন আইন মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত।
সূত্র জানায়, তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ- তারা বিচারিক কাজে থাকাকালীন বিভিন্ন সময়ে অজামিনযোগ্য মামলায় জামিন দেন। আদালতে কর্মচারী নিয়োগসহ বিভিন্ন বিষয়ে দুর্নীতি ও অসদাচরণের আশ্রয় নেন।
সূত্র জানায়, ১০ আগস্ট চার বিচারককে চাকরিচ্যুত করে বরখাস্তের অনুমোদনের নথি সুপ্রিম কোর্ট থেকে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। আইন মন্ত্রণালয় বরখাস্তের আদেশ জারি করবে।
কবে নাগাদ করা হবে জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, এই ব্যাপারে সময় মতো আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, বিচারকদের নিয়োগ, বদলি, পদোন্নতি এবং অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়টি দেখভাল করেন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন জেনারেল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন কমিটি। এ কমিটির পরামর্শ অনুযায়ী ওই নথি মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। চার বিচারকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের ও তদন্ত করে ওই প্রতিবেদন জিএ কমিটির কাছে পাঠানো হয়। কমিটি ওই বিচারকদের বরখাস্তের বিষয়টি ফুলকোর্ট সভায় অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করলে তদন্ত প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে ফুলকোর্ট সভায় চার বিচারককে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।