আফসান চৌধুরী
ফরহাদ মাজহারের যে বক্তব্য, তার দায়-দায়িত্ব নিজের ওপরই বর্তায়। এধরনের বক্তব্যে তেমন কিছু বলার থাকে না। কারণ, এসব বক্তব্য বিশ্বাস করার মতো নয়, কেননা ইতিহাস সবারই জানা। যত মানুষই যুদ্ধ করেছেন, মুজিবুর রহমানের অধীনেই যুদ্ধ করেছেন। হয়তো, ছিটকা-ছাটকা দুই-পাঁচজন ছিল যারা চরমপন্থী, যারা মুজিবুর রহমানকে স্বীকারই করত না, শত্রু মনে করত। জিয়াউর রহমানতো মুজিবুর রহমানের অধীনেই যুদ্ধ করেছেন। জিয়াউর রহমান একমাত্র মানুষ ছিলেন না, যে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ করেছিলেন। চট্টগ্রামই একমাত্র জায়গা নয় যেখানে স্বাধীনতার ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল, অনেক স্থানেই স্বাধীনতার ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। ফরহাদ মজহার হয়তো অনেক কিছুই জানেন না, তিনি হয়তো ইতিহাস সম্পর্কে কিছুটা অজ্ঞ। জিয়াউর রহমানের নাম মানুষ শুনেছেন তার বক্তব্য দেওয়ার পর। শেখ মুজিবুর রহমান যুদ্ধের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন সেই ১৯৪৬ সাল থেকেই। এগুলো সম্পর্কে কোনো তুলনা করার মতো নয়। এগুলো আওয়ামী লীগ ও বিএনপিরই দোষ। যতদিন আওয়ামী লীগ ও বিএনপি থাকবে ততদিন বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সঠিকভাবে কেউ জানতে পারবে না। আওয়ামী লীগ আবার নতুন একটা আইন হাতে নিয়েছে, শেখ সাহেবের বিরুদ্ধে কিছু বলা যাবে না। এটা নিছক বিএনপিকে আটকানোর জন্য করেছে। ইতিহাস চর্চাকে আটকানোর ব্যবস্থা করা ঠিক হবে না। জিয়াউর রহমান ছিলেন অনেক সামরিক বিজ্ঞদের মধ্যে একজন। বাংলাদেশের ইতিহাস কতটা দুর্বল তা এধরনের বক্তব্য থেকেই বোঝা যায়। ফরহাদ মজহার রাজনীতি করার জন্যই হয়তো এধরনের বক্তব্য করেছেন। লোকে যদি এধরনের বক্তব্যকে সিরিয়াসভাবে নেয়, তবে তারা তো মজা পেয়ে যাবেন এবং বারবার এমন মন্তব্য করতে থাকবেন।
পরিচিতি : গবেষক / মতামত গ্রহণ : শরিফুল ইসলাম / সম্পাদনা : জব্বার হোসেন