ফ্লাইট বাতিল হলেও হজযাত্রী পরিবহনে জটিলতা থাকবে না
দেলওয়ার হোসাইন : বাংলাদেশ বিমানের ১৩টি হজ ফ্লাইট বাতিল হলেও হজভিত্রী পরিবহনে জটিলতা থাকবেনা বলে আশা প্রকাশ করেছেন ধর্মমন্ত্রী মতিউর রহমান। এছাড়া হজযাত্রী পরিবহনের ক্ষেত্রে দুর্নীতি ও অনিয়ম, বিশৃঙ্খলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
গতকাল বুধবার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ধর্মমন্ত্রী বলেন, সৌদি এয়ারলাইন্স আশানুরূপ হজযাত্রী পরিবহন করলেও বাংলাদেশ বিমানকে অনাকাক্সিক্ষতভাবে ১৩টি ফ্লাইট বাতিল করতে হয়েছে। তবে সৌদি সরকার নতুন করে ১৫টি সøটের অনুমতি দিয়েছে। নতুন এসব সøট পাওয়ায় হজযাত্রী পরিবহনে আর কোনো জটিলতা থাকবে না। ১৩টি ফ্লাইট বাতিল হলেও বিমানের ৩৫টি ফ্লাইটের প্রতিটির ধারণ ক্ষমতা ৩০০ থেকে বাড়িয়ে ৪১৯ জনে উন্নীত করার মাধ্যমে বাতিল ফ্লাইটের যাত্রীদের সমন্বয়ের চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও জানান ধর্মমন্ত্রী।
তিনি বলেন, সৌদি দূতাবাস থেকে এ পর্যন্ত ৯২ হাজার ৫৬৮ জন হজযাত্রীর ভিসা হয়েছে এবং বাকী ভিসাও অল্প সময়ের মধ্যে হয়ে যাবে। হজযাত্রী পরিবহন নিয়ে সঙ্কটে তার নীরবতার কারণ জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, সঙ্কটে নিশ্চুপ ছিলাম না, আলাপ-আলোচনা করেছি। কোনটা করলে সুবিধা হবে সেদিকে এগিয়েছি। হজ কার্যক্রমে নিজের সহকারী একান্ত সচিবসহ (এপিএস) অন্য কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অনিয়মের প্রমাণ দিতে পারলে তাদের তাৎক্ষণিক ডিসমিস করা হবে বলেও জানান ধর্মমন্ত্রী।
আরেক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আমি কোনো পয়সা খাই না। কিছু এজেন্সি বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করছে। এরকম কিছু হলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণে পিছপা হব না।
নির্ধারিত কোটার বাইরে অপেক্ষমান ৪০ হাজার হজযাত্রীর জন্য কথিত ১১ হাজার কোটা বরাদ্দের বিষয়ে জানতে চাইলে ধর্মমন্ত্রী বলেন, অতিরিক্ত কোটার জন্য সৌদি সরকারের কাছে আমরা কয়েক দফা ডিও দিয়েছি। কিন্তু এখনও তারা কিছু জানাননি। আমরা এখনও চেষ্টা অব্যাহত রেখেছি।
গত শনিবার (২০ আগস্ট) নয়াপল্টনে হোটেল ভিক্টোরিতে হাব নির্বাহী কমিটির জরুরি সভা এবং সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির সভাপতি ইব্রাহিম বাহার এবং মহাসচিব শেখ মো. আব্দুল্লাহ অভিযোগ করেন, অতিরিক্ত ১১ হাজার যাত্রীর কোটা নিয়ে ধর্ম সচিব এবং হজ পরিচালক গড়িমসি করছেন। তারা সেজন্য ধর্ম সচিব এবং হজ পরিচালকের অপসারণও দাবি করেন। তারা বলেন, সরকারি কোটার ৪ হাজার ৮০০ হজযাত্রীর বেসরকারি কোটা দেওয়ার পরেও ডিও লেটার দিচ্ছেন না হজ পরিচালক। সম্পাদনা : পরাগ মাঝি