এবার দুষ্টুমির ছলে পায়ুপথে বাতাস
সুজন কৈরী : রাজধানীর ভাটারা এলাকায় কমপ্রেশার মেশিন দিয়ে পায়ুপথে বাতাস ঢুকিয়ে দেওয়ায় আতিয়ার মোল্লা নামে এক যুবক গুরুতর অসুস্থ হয়েছেন।
গতকাল বুধবার দুপুর ১টার দিকে ভাটারা মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আতিয়ার মোল্লাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ভাটারা মোড়ে আক্তার ফার্নিচার লিমিটেডের নিজস্ব ঠিকাদার আতিয়ার মোল্লা রাজবাড়ীর সদর উপজেলার মাইশাকাটা গ্রামের গোপাল মোল্লার ছেলে। ভাটারা নতুন বাজার এলাকায় স্ত্রী সুমি আক্তারের সঙ্গে থাকেন তিনি।
তার সহকর্মী মোমিনুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, গতকাল দুপুরে আতিয়ার, ওই প্রতিষ্ঠানের কমপ্রেশার কর্মচারী মামুন ও অন্যরা মিলে একসঙ্গে কথা বলছিল। সে সময় মামুন কমপ্রেশার মেশিন দিয়ে সবাইকে বাতাস দিচ্ছিল। হঠাৎই দুষ্টুমির ছলে মামুন কমপ্রেসার মেশিন দিয়ে আতিয়ারের পায়ুপথে বাতাস ঢুকিয়ে দিলে তার পেট ফুলে ওঠে এবং আতিয়ার গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে কুর্মিটোলা হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে ঢামেক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
ঢামেকে ভর্তি আতিয়ার মোল্লাও একই কথা বললেন। তিনি জানান, দুষ্টুমির ছলে মামুন বাতাস দিতে গিয়ে এমনটি হয়েছে। এতে তিনি কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ করেননি।
ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক সুবর্ণা দেব জানান, আতিয়ারের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তার পেট অস্বাভাবিক রকম ফুলে গেছে। আজই (গতকাল) তার অস্ত্রোপচার করা হবে।
ভাটারা থানার ওসি নুরুল মুক্তাকিন জানান, এ ঘটনায় মামুনকে আটক করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মামুন জানিয়েছে, ইচ্ছা করে সে এটা করেনি। দুষ্টুমির ছলে আতিয়ার প্রথমে তাকে বাতাস দেয়। পরে সে আতিয়ারকে বাতাস দিলে এ ঘটনা ঘটে।
উল্লেখ্য, গত ২৮ জুলাই রাজধানীর অদূরে আশুলিয়ায় নিশ্চিন্তপুর এলাকায় আইডিয়াস নামক পোশাক তৈরি কারখানায় নুরুল ইসলাম নামে এক শ্রমিকের পায়ুপথে হাওয়া দেওয়ার হয়। পরে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় নুরুল ইসলামকে ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গত ২৫ জুলাই নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে তারাব পৌরসভার যাত্রামুড়া এলাকার জোবেদা গ্রুপের এখলাছ স্পিনিং মিলে সাগর বর্মণ নামে এক শিশু শ্রমিককে পায়ুপথে কম্প্রেশার মেশিন দিয়ে বাতাস ঢুকিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় একজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে পুলিশ। এর আগে, গত বছরের ৩ আগস্ট খুলনার টুটপাড়ায় শরীফ মোটরস নামে একটি মোটরসাইকেল গ্যারেজে মোটরসাইকেলের চাকায় হাওয়া দেওয়ার কমপ্রেশার মেশিনের নল পায়ুপথে ঢুকিয়ে রাকিব নামের এক শিশু শ্রমিককে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত দুই আসামির ফাঁসির আদেশও দেওয়া হয়েছে বিচারিক আদালতে। সম্পাদনা: আ. হাকিম