জেএমবির সিøপার সেল ইনচার্জ শামীম গ্রেফতার প্রকাশক দীপন হত্যায়ও সেই মেজর জিয়া
ইসমাঈল হুসাইন ইমু : প্রকাশক ফয়সাল আরেফীন দীপন হত্যা মামলার প্রধান আসামি শামীম প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে যে, মেজর জিয়াই তাদের বড় ভাই। জিয়াই তাদের সব প্রশিক্ষণ দেন।
গতকাল বুধবার ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম বলেন, মইনুল ইসলাম শামীম ওরফে সিফাত ওরফে ইমরানকে মঙ্গলবার রাতে টঙ্গীর চেরাগ আলী মার্কেট থেকে গ্রেফতার করে ডিবি সদস্যরা। শামীম দীপন হত্যায় সিøপার সেলের দায়িত্বে ছিল। শিহাব ওরফে সুমন নামে আটক একজনের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে শামীমকে গ্রেফতার করা হয়।
মনিরুল ইসলাম বলেন, জেএমবির সিøপার সেলের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিদের তাদের ভাষায় ‘মাসুল’ বলা হয়। দীপন হত্যায় ৫ জন অংশ নেয়। শামীম তাদের মধ্যে একজন। দীপনকে হত্যার একমাস আগে শামীমের নেতৃত্বে স্লিপার সেলটি টঙ্গীর একটি বাসায় প্রশিক্ষণ নেয়। পরে মহাখালীতে চূড়ান্ত প্রস্তুতি নিয়ে দীপনকে হত্যা করে। এই প্রস্তুতি তাদের ভাষায় ‘মারকাজ’ নামে পরিচিত।
মনিরুল আরও বলেন, শামীম আনসার উল্লাহ বাংলাটিমের (এবিটি) সামরিক শাখার শীর্ষ চারজনের মাসুল দায়িত্বপ্রাপ্তদের একজন। এছাড়া মোহাম্মদপুরের নবোদয় হাউজিংয়ে বোমা প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে বোমা তৈরির প্রশিক্ষণও গ্রহণ করেছে সে।
পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও জানান, শামীম ২০১৪ সালে সাভারে সান্তা মারিয়াম বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্র হত্যায় জড়িত এবং তার বিরুদ্ধে ছাতকে একটি মামলা আছে। তার গ্রামের বাড়ি সুনামগঞ্জে। সে মদনমোহন কলেজের ছাত্র ছিল। তাকে ধরিয়ে দেওয়ার জন্য এর আগে দুই লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করা হয়। তার ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত বছরের ৩১ অক্টোবর বিকালে শাহবাগের আজিজ সুপার মার্কেটে প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান জাগৃতির কার্যালয়ে দীপনকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। সম্পাদনা : পরাগ মাঝি