নিহত ৭৩, নিখোঁজ ১৫০ মধ্য ইতালিতে প্রবল ভূমিকম্প নিশ্চিহ্ন আস্ত একটি শহর
ইমরুল শাহেদ: মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা জানিয়েছে, স্থানীয় সময় রাত ৩টা ৩৬ মিনিটে পারুগিয়া শহর থেকে ৭৬ কিলোমিটার দূরে মধ্য ইতালিতে ৬.২ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। এর গভীরতা ছিল ১০ কিলোমিটার। ইতালির ইংরেজি দৈনিক দি লোকালে বলা হয়েছে, ভূমিকম্পের ফলে এখনো পর্যন্ত ৭৩ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। এর মধ্যে ৮ মাসের শিশুও রয়েছে। নিখোঁজ অন্তত ১৫০। তারা ধ্বংস্তূপের মধ্যে চাপা পড়েছে বলে ডেইল মেইল উল্লেখ করে। দেশটির কর্মকর্তারা আশঙ্কা করছেন, হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। জীবিতদের সন্ধানে উদ্ধার অভিযান শুরু করা হয়েছে।
সবচেয়ে খারাপ অবস্থা মধ্য ইতালির আমাত্রিস শহরের। শহরের বেশির ভাগ বাড়ি ভেঙে গিয়েছে। ধ্বংসস্তূপের মধ্যে বহু মানুষের আটকে থাকার আশঙ্কার কথা জানিয়ে আমাত্রিসের মেয়র টুইট করেছেন, আস্ত শহরটাই যেন নিখোঁজ হয়ে গিয়েছে। একটি শহরের মেয়র ইতালিয়ান রেডিওকে বলেছেন, অর্ধেক শহর ধ্বংস হয়ে গেছে।
প্রবল ঝাঁকুনিতে ভূমিকম্প উপকেন্দ্রের ১৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে রাজধানী রোমের বাসিন্দাদের ঘুম ভেঙে যায়। লা রিপাবলিকা সংবাদপত্রের ভাষ্যে, রোমের কিছু ভবন ২০ সেকেন্ড ধরে কেঁপেছিল। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়, সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলো অ্যাকুমোলি, আমাত্রিসি, পোস্তা এবং আরকুয়াটা দেল টরোনটো। কারি রয়টার্সকে জানান, ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে প্রাথমিকভাবে হেলিকপ্টার ব্যবহার করা হচ্ছে।
আরএআই টিভিকে আকুমোলি শহরের মেয়র স্টিফানো পেটরুসি বলেছেন, ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে একটি পরিবারের চার সদস্যকে পাওয়া গেছে। পুলিশ বলছে, পেসকারা দেল টরেন্টোর কাছের একটি গ্রামে দুজন মারা গেছে। বিবিসি জানিয়েছে, শহরটির মেয়র সেরগিও পেরোজ্জি বলেছেন, শহরটিতে প্রবেশ ও বাইরের রাস্তা ফেটে গেছে। অর্ধেক শহর ধ্বংস হয়ে গেছে। ধ্বংসস্তূপের নিচে মানুষ আটকে পড়েছে। সম্ভবত ভূমিধস হয়েছে ও একটি সেতু ভেঙে পড়েছে। মেয়র সের্জিও পিরোজ্জি আরও বলেন, ‘শেষ রাতের দিকে পুরো শহরটা দুলতে শুরু করে। বাসিন্দারা ভয়ে রাস্তায় বেরিয়ে পড়েন। চেখের সামনেই বাড়িগুলো গুঁড়িয়ে যাচ্ছিল।’ নরসিয়া এবং আমব্রিয়াতেও বেশ কয়েকটি বড় বাড়ি ভেঙে পড়ার খবর পাওয়া গিয়েছে। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা বলেছে, পুরনো তথ্য-উপাত্ত বিবেচনা করে মনে হচ্ছে, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অনেক বেশি হতে পারে।