স্বামীকে বসিয়ে রেখে সোনা-গয়না নিয়ে চম্পট নববধূর!
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : দশ দিন হয়েছে বিয়ের। বর-বধূ, কারো মন থেকেই এখনো বিয়ের আমেজ কাটেনি। বিয়ের পরে নতুন বউ বরকে নিজের কর্মস্থলে সহকর্মীদের সঙ্গে পরিচয় করাতে নিয়ে গিয়েছিলেন। এর মধ্যে কোনো অস্বাভাবিক ঘটনাও ঘটেনি। কিন্তু সেখান থেকে যে তাকে একাকী ফিরতে হবে, চার দিন কেটে গেলেও যেন বিশ্বাস হচ্ছে না বরের। চোখের সামনে দিয়ে যেন গা-ভর্তি গয়না পরে চলে গেল নতুন বউ! এবেলা
এমনই ঘটনা ঘটেছে বীরভূমের মহম্মদবাজার এলাকায়। তবে মেয়ে-পক্ষে কোনো খোঁজ না নেওয়ায় চক্রান্তের গন্ধ পাচ্ছেন ছেলের পরিবার। তাদের সন্দেহ গয়না ও টাকা হাতানোর লোভেই বিয়ের পিঁড়িতে বসেছিল ‘নিখোঁজ’ বধূ। খবর এবেলার। জানা গিয়েছে, সিউড়ি থানার কালীপুরের বাসিন্দা অভিজিত চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে দিন দশেক আগে বিয়ে হয় মহম্মদবাজার থানার মুরালপুর গ্রামের রুমা মিস্ত্রি শর্মার। প্রায় দেড় মাস ধরে দেখাশোনার পর ১৪ আগস্ট বক্রেশ্বরের মন্দিরে তাদের বিয়ে হয়। মেয়ের বাড়িতে কোনো অনুষ্ঠান বা অতিথি আপ্যায়ন না হলেও ছেলের বাড়িতে রীতিমতো বৌভাতের আয়োজন করে ধুমধাম করে অতিথি আপ্যায়ন করা হয়। বৌভাতের পরেই মহম্মদবাজারে নিজের কর্মস্থলে স্বামীকে নিয়ে যান রুমা। সেখানে সর্বশিক্ষা মিশনে চুক্তিভিত্তিক পদে তিনি কর্মরত ছিলেন রুমা। অভিজিত বাবুর দাবি, ‘রুমার সহকর্মীরা নতুন বর দেখতে এসে আমার সঙ্গে আলাপ করে যান। কর্মকর্তারাও পরিচয় করেন। এরপরে দপ্তরের নীচের ক্যান্টিনে আমাকে নিয়ে যায় রুমা। সেখানে টিফিন করি দু’জনে। তার পরে অফিসে বসিয়ে রেখে পালিয়ে যায় রুমা।’ অভিজিত বাবু জানান, প্রথমে ফোন করলে ম্যাসেজ পাঠিয়ে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার কথা বলেন রুমা। তার পরে একাধিকবার ফোন করা হলেও রুমাদেবী আর ধরেননি। বিষয়টি শ্বশুর বাড়িতে রুমার দাদা নবকুমার শর্মাকে ফোন করে জানান অভিজিত বাবু। সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদ