জিয়া ও এরশাদ আর সুবিধা পাবেন না পুরস্কারও ফিরিয়ে নেওয়া হবে : সুরঞ্জিত
নাশরাত আর্শিয়ানা চৌধুরী: সাবেক রাষ্ট্রপতি মেজর জেনারেল (অব.) জিয়াউর রহমান ও লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ সামরিক সরকারের প্রধান ছিলেন। তারা সামরিক জান্তা হিসেবে অনেক কাজ করেছেন ও সুযোগ-সুবিধা নিয়েছেন। ওই সময়ে তারা রাষ্ট্রপ্রধানরা বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা পাবেন বলেও নিয়ম করেন। সেই হিসেবে ধারাবাহিকভাবে বিভিন্ন সুবিধা পেয়ে আসছেন। এরই অংশ হিসেবে এখনো এরশাদ নানা সুবিধা ভোগ করছেন। জিয়ার উত্তরাধিকারীরাও বিভিন্ন সুবিধা পাচ্ছেন। কিন্তু ওই সব সুবিধা তারা আগামীতে পাবেন না। এ জন্য আমরা আইনও করেছি। আইন কার্যকর হলে তাদের সব সুবিধা বাতিল হবে। আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় কমিটির সভাপতি সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক সংবিধানের পঞ্চম ও সপ্তম সংশোধনী বাতিল করে রায় দেন। ওই রায়ের কারণে ওই দুই সরকারের প্রধান হিসেবে তাদের কর্মকা-ও অবৈধ ঘোষণা হয়। আর তাদের সব সুবিধাও বাতিল করার কথা রায়ে বলা হয়। ওই রায়ের আলোকে আমরা একটি আইন করেছি। ওই আইন আমরা সংসদীয় কমিটি থেকে পাস করে দিয়েছি।
সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত বলেন, এরশাদ জীবিত আছেন এ জন্য তার সব সুবিধা বাতিল করা যাবে আইন কার্যকর করার সঙ্গে সঙ্গে। আর জিয়া যেহেতু মারা গেছেন তিনি সরাসরি সুবিধা পান না। তার উত্তাধিকারীরা বিভিন্ন সুবিধা পান। এখন আমার ঠিক মনে নেই কি কি সুবিধা পান। তবে বেশ কয়েকটি বাতিল হবে।
তিনি বলেন, জিয়াউর রহমানকে বিএনপি সরকারের তরফ থেকে স্বাধীনতা পদক দেওয়া হয়েছিল, ওই পুরস্কারও আর থাকবে না। আমরা যে আইন করেছি সেই আইনের ফলে তার ওই পদকও বাতিল হয়ে যাবে।
মুক্তিযুদ্ধে তো জিয়াউর রহমানের অবদান রয়েছে। সেই হিসেবে তিনি পুরস্কার পেয়েছেন। তাকে তো সামরিক জান্তা হিসেবে পুরস্কার দেওয়া হয়নি, তাহলে পুরস্কার বাতিল করা হবে কেন- জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিচারপতি এ কে এম খায়রুল হকের রায় অনুযায়ী আমরা যে আইন করেছি সেই আইনের বলে তার ওই পুরস্কার রাখা যাবে না।
তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান ছাড়াও এরশাদেরও সুবিধা বাতিল করার বিষয়টি আইনে রয়েছে। আইনের ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে তিনি বলেন, এ সময়ে আমি সব কিছু মনেও করতে পারছি না। এ ব্যাপারে আইন মন্ত্রণালয় কাজ করছে। আমরা বলেছিলাম আইনটি পাস করে তা গেজেট আকারে প্রকাশ করার জন্য। সেটাও হয়ে যাওয়ার কথা। সম্পাদনা: সুমন ইসলাম