বোল্টের সঙ্গে বিছানায় কেমন ছিল সেই মুহূর্ত? বললেন সঙ্গিনী
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ব্রাজিলের ২০ বছর বয়সী তরুণী জেডি ডুয়ার্টে বোল্টের সঙ্গে একরাত কাটানোর যে অভিজ্ঞতা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তুলে ধরেছেন, তাতে একথা মনে হওয়াই স্বাভাবিক যে, এহেন বোল্ট ট্র্যাকে গতির সম্রাট হতে পারেন কিন্তু বিছানায় তিনি ম্যারাথন রানার। ডুয়ার্টে ও বোল্টের ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবি ছড়িয়ে পড়েছে গোটা বিশ্বে। বোল্টের সঙ্গে রাত কাটানোর জন্য বিখ্যাত হয়ে গেছেন ডুয়ার্টে। এহেন ডুয়ার্টে সেই রাতের ধারাবিবরণী দিয়েছেন এক সাক্ষাৎকারে।
কীভাবে বোল্টের নজরে পড়লেন তিনি? কীভাবে হলো তাদের ঘনিষ্ঠতা? ডুয়ার্টে বলছেন, ‘বোল্ট যত দ্রুত সোনা জিততে পারে, তার থেকেও দ্রুতগতিতে মহিলাদের জিতে নেওয়ার ক্ষমতা ধরে।’ শনিবার রাতে বোল্টের সঙ্গে রিওর এক ক্লাবে দেখা হয়েছিল ডুয়ার্টের। তরুণীর খানিক আগেই দাঁড়িয়েছিলেন বোল্ট। ব্রাজিলীয় তরুণীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে যাচ্ছিলেন জ্যামাইকান কিংবদন্তি। হঠাৎই বোল্ট তার শরীর থেকে সরিয়ে ফেলেন জামা। তার বিখ্যাত সিক্স প্যাক তখন দৃশ্যমান। সেই সিক্স প্যাকের আবেদন অগ্রাহ্য করেন কীভাবে ডুয়ার্টে?
বোল্টের সুগঠিত শরীর দেখে ফিদা ডুয়ার্টে। অলিম্পিকের মহান নায়কের ভীষণ সুন্দর পেশিবহুল শরীরী সৌন্দর্য ডুয়ার্টেকে উন্মাদ করে দেয়। কোনো এক অমোঘ আকর্ষণ যেন ব্রাজিলীয় সুন্দরীকে টেনে নিয়ে গেল বোল্টের কাছে। প্রথমটায় ডুয়ার্টে বুঝেই উঠতে পারেননি তার সামনে দাঁড়িয়ে থাকা দীঘল চেহারার মানুষটিই বোল্ট। সম্বিৎ যখন ফেরে, তখন বোল্টের এক বডিগার্ড ডেকে পাঠান। পিছপা না হয়ে ডুয়ার্টে সটান উঠে বসেন ট্যাক্সিতে। সেখানে চলে নিরন্তর চুম্বন। বোল্ট ও ডুয়ার্টের ট্যাক্সি সোজা ঢুকে যায় অলিম্পিক ভিলেজে। কেউ থামায়নি গাড়ি। কেউ জানতেও চাননি ডুয়ার্টের পরিচয়। এবেলা
দামি হোটেলে না নিয়ে গিয়ে বোল্ট কেন ভিলেজে গেলেন? এসব ভাবার মতো অবকাশ ছিল না ডুয়ার্টের। তিনি তখন ভীষণভাবে মত্ত বোল্টে। খুব অল্পই কথা হয়েছিল দুজনের মধ্যে। যেটুকু কথা হয়েছিল তাতে ডুয়ার্টের রূপের তারিফ করেন বোল্ট। জ্যামাইকান কিংবদন্তির ভাবগতিক দেখে ডুয়ার্টের বুঝতে সমস্যা হয়নি, বোল্ট ‘সেক্স’ করতে চাইছেন।
ঘরে ঢুকতেই শুরু হয়ে গেল বোল্ট ও ডুয়ার্টের গভীর ভালবাসা। ডুয়ার্টে বলছেন, ‘দীর্ঘ সময় ধরে আমরা সেক্স করছিলাম।’ প্রথমটায় চল্লিশ মিনিট। কিছুক্ষণ বিশ্রাম নেওয়ার পর আবার চলতে থাকে দুজনের উদ্দামতা। সকাল নটায় ডুয়ার্টের হাতে ট্যাক্সি ভাড়া গুঁজে দিয়ে বোল্ট জানান, প্যারাঅলিম্পিকের সময় আবারও তাদের দেখা হবে। ডুয়ার্টেকে অবশ্য নাম্বার দেননি বোল্ট। জ্যামাইকান কিংবদন্তিতে মজে থাকা ডুয়ার্টে বলেছেন, ‘বোল্টকে দুরন্ত দেখতে। বিরাট বড় তারকা। সেই সঙ্গে বোল্ট অসভ্যও বটে। সেই রাতের অভিজ্ঞতা দারুণ।’ সম্পাদনা: ইমরুল শাহেদ