আখাউড়া দিয়ে শুরু হলো ভারতের চাল পরিবহন
সাজ্জাদুল হক : আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে শুরু হয়েছে ত্রিপুরাসহ ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল রাজ্যগুলোর জন্য দেশটির কেন্দ্রীয় সরকারের দেওয়া খাদ্য সহায়তর চাল পরিবহন। ব্রাক্ষণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ নৌবন্দর থেকে তৃতীয় চালানের প্রথম দফায় ১৫টি কাভার্ড ভ্যানে ২৭৩ মেট্রিকটন চাল ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলায় পরিবহন করা হয়।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে এ কার্যক্রম শুরু হয়।
আখাউড়া স্থলবন্দর নোম্যান্সল্যান্ডে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ফুড কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়া (এফসিআই) ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলা খাদ্যগুদামের জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) বিডল তিওয়ারী ও আগরতলা কাস্টমস সুপার শিশির দেব আখাউড়া স্থলবন্দর কাস্টমস সহকারী শুল্ক কর্মকর্তা মো. সারোয়ার আলমের কাছ থেকে চাল সংক্রান্ত কাগজপত্র বুঝে নেন।
ভারতীয় অর্থে সর্বমোট দুই কোটি ৩৭ লাখ ১২ হাজার টাকা মূল্যের ভারতীয় চাল আগরতলা নন্দন নগর খাদ্যগুদামে যাচ্ছে। তবে বন্দরের ল্যান্ডিং সার্ভিস চার্জ বাবদ পাওয়া যাবে প্রায় আট লাখ ২৫ হাজার টাকা। এছাড়া আশুগঞ্জ নৌবন্দর থেকে আখাউড়া স্থলবন্দর সীমান্ত পথে আগরতলা খাদ্যগুদাম পর্যন্ত চাল পরিবহনকারী বাংলাদেশী কাভার্ড ভ্যানের ভাড়া বাবদ পাওয়া যাবে প্রায় ৫৫ লাখ টাকা।
আগরতলা সীমান্তে বিএসএফ ও কাস্টমস কাগজপত্র নিয়ে অনেক ভোগান্তি সৃষ্টি করছে। তারা একেক সময় একক বাহানা তৈরি করছে বলে অভিযোগ করেন আশুগঞ্জ থেকে চাল পরিবহনকারী কাভার্ড ভ্যান চালকরা।
ভারতীয় চাল পরিবহনকারী আনবীজ ডেভেলপমেন্ট লিমিটেডের লজিষ্টিক ম্যানেজার মো. মাকসুদ হোসেন বলেন, আবহাওয়ার বিষয়টি মাথায় রেখে ট্রাকের পরিববর্তে কাভার্ডভ্যানে করে আশুগঞ্জ থেকে আগরতলায় চাল পৌঁছানো হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যের জন্য ট্রান্সশিপমেন্ট চুক্তির আওতায় ৩৫ হাজার মেট্রিকটন খাদ্যপণ্যের মধ্যে দুই হাজার ২৭২ দশমিক ৪৮৫ মেট্রিকটন চাল নিয়ে গত মঙ্গলবার এমভি অভি নামে ভারতীয় একটি জাহাজ আশুগঞ্জ নৌবন্দরে আসে। এছাড়া বাংলাদেশ-ভারত দু’দেশের নৌ-প্রটোকল চুক্তির আওতায় ‘বিশেষ মানবিক সুবিধায়’ বাংলাদেশের উপর দিয়ে এ চাল পরিবহনে ভারতকে কোনো শুল্ক বা কোনো প্রকার ব্যাংক গ্যারান্টি দিতে হচ্ছে না। সম্পাদনা : রাশিদ রিয়াজ