জন্মদিনে নৃশংসভাবে মায়ের হাতে খুন মেয়ে!
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : নিউ মেক্সিকোর আলবুকারেকের বাড়ি থেকে ফোন যেতেই সময় নষ্ট না করেই পৌঁছে গিয়েছিল পুলিশের একটি দল। কিন্তু ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গেছে। ভিক্টোরিয়া মার্টিনের দেহ নিথর হয়ে পড়ে রয়েছে মাটিতে। ১০ বছরের জন্মদিন পার্টির কয়েক ঘণ্টা আগেই তাকে খুন করা হয়েছে। শুধু ছোট্ট মেয়েটিকে মেরে ফেলাই নয়, যেভাবে খুন করা হয়েছে ভিক্টোরিয়াকে তাতে হতচকিত পুলিশ। একরত্তি মেয়ের সঙ্গে কার এত বড় শত্রুতা হতে পারে যে এত নিষ্ঠুরভাবে তাকে খুন করা হয়েছে। প্রশ্নের জবাব পাওয়ার পর আকাশ থেকে পড়েছেন তদন্তকারী অফিসাররাই। ভিক্টোরিয়ার হত্যার মূল সন্দেহভাজন তার মা মিশেল মার্টিন (৩৫) এবং তার বয়ফ্রেন্ড ফাবিয়ান গনজেলস (৩১)। তদন্তকারী এক কর্মকর্তার ভাষ্য, ‘আমার গোটা পেশাদারি জীবনে এমন নৃশংস ঘটনা আগে দেখিনি। মেথামফেটামিনের মতো কড়া ড্রাগ প্রথমে দেওয়া হয় ভিক্টোরিয়াকে। তারপর ধর্ষণ করে ছুরি দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয় ১০ বছরের মেয়েটিকে। সিকাগো ট্রিবিউন
পুলিশ বাড়িতে পৌঁছনোর পর ভিক্টোরিয়ার মা কাঁদতে কাঁদতে পুলিশকে জানায়, কেউ তার মেয়েকে খুন করেছে। ওই বাড়িতে গনজেলসকেও পাওয়া যায়। তার প্যান্টে রক্তের দাগ লেগেছিল তখনও। সে পুলিশকে জানায়, পরিস্কার করতে গিয়ে গায়ে রক্ত লেগে গিয়েছে তার। অন্যদিকে, পুলিশ বাড়িতে ঢুকলে ভয় পেয়ে বারান্দা দিয়ে লাফ দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে তার দূর সম্পর্কের বোন কেলি। যদিও পরে কেলিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বাড়ির শৌচাগার থেকে ভক্টোরিয়ার রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তার শোয়ার ঘরের কার্পেটেও রক্তের ছাপ পাওয়া গেছে। সম্পাদনা : প্রিয়াংকা