পছন্দের মানুষকে খুঁজে পেতে শহরজুড়ে পোস্টারিং!
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইংল্যান্ডের হ্যাম্পশায়ারের বুমটাউন ফেস্টিভ্যালে আচমকাই মুখোমুখি হয়েছিলেন নিক হপটন এবং ফ্রেয়া। ‘লাভ অ্যাট ফার্স্ট সাইট’ বলতে যা বোঝায়, নিকের অবস্থা ছিল ঠিক সে রকমই। হাঁটতে হাঁটতে ফ্রেয়ার সঙ্গে নানা কথাও বলেন নিক। এমনকি, ফ্রেয়াকে বাসেও উঠিয়ে দেন তিনি। ডেইলি মেইল
কিন্তু বাস চলে যেতেই সম্বিৎ ফেরে নিকের। ফ্রেয়ার ফোন নম্বরটিই নেওয়া হয়নি! তা হলে আগামীদিনে যোগাযোগ করবেন কীভাবে? চিন্তায় পড়েন নিক। ফেসবুকে ফ্রেয়ার প্রোফাইল খোঁজার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। নিকের খেয়াল হয় আলাপচারিতায় ফ্রেয়া জানিয়েছিলেন যে, তিনি ব্রিস্টলের হরফিল্ডে পেয়িং গেস্ট হিসেবে থাকেন। আর একটি ছোটখাটো চাকরিও করেন সেখানে। এই ছোট্ট তথ্যের ভরসাতেই নিক হাজির হন হরফিল্ডে। সেখানে বিভিন্ন এমপ্লয়মেন্ট এজেন্সির দফতরে যোগাযোগ করেন। কারণ, ফ্রেয়া এমনই এক এমপ্লয়মেন্ট এজেন্সিতে চাকরি করেন বলে নিককে জানিয়েছিলেন।
কিন্তু এখানেও ফ্রেয়াকে খুঁজে পাওয়ার চেষ্টা ব্যর্থ হয়। এরপর নিজের ছবি সাঁটিয়ে একটি পোস্টার লেখেন নিক। তাতে ফ্রেয়া সম্পর্কে তার জানা তথ্যও জুড়ে দেন। ফ্রেয়া সম্পর্কে কোনও তথ্য জানা থাকলে তার নম্বরে ফোন করে তা জানানোর আবেদনও করেন তিনি। এর পর এই পোস্টার ব্রিস্টল শহরের সমস্ত বাসস্টপে সাঁটিয়ে দেন নিক। প্রথমে সেভাবে কোনও সাড়া পাননি। মাঝে দু’একটি ফোন পেয়েছিলেন মাত্র। কিন্তু, সেসব ফোন কোনো কোনো নারী মজা করে করেছিলেন। শেষ পর্যন্ত একদিন মাঝরাতে একটি ফোন আসে নিকের কাছে। ফোনের ওপরপ্রান্ত থেকে ভেসে আসা কণ্ঠটা যে ফ্রেয়ার, তা বুঝে নিতে অসুবিধা হয়নি নিকের। কারণ প্রেমিকের মন বলে কথা। ফ্রেয়া জানান, বাসস্টপের ওই পোস্টারে পাওয়া নিকের ফোন নম্বর নিয়ে তিনি ফোন করছেন। নিক জানিয়েছেন, খুব শিগগিরই তিনি এবং ফ্রেয়া ডেটিং-এ যাচ্ছেন। ফ্রেয়া সম্মত্তি জানিয়েছেন এই ডেটে।
সম্পাদনা : প্রিয়াংকা