কাশ্মীরে ছররা গুলির বদলে পাভা শেল ব্যবহারের কথা ভাবছে ভারত
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরে বিক্ষোভকারীদের ওপর ছররা গুলির ব্যবহার নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সমালোচনার ঝড় চলছে। তাই এবার কাশ্মিরে ছররা গুলির বিকল্প খুঁজছে ভারত সরকার। এ ব্যাপারে এরইমধ্যে একটি বিশেষজ্ঞ প্যানেল গঠন করেছে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সরকারি সূত্রের বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়েছে, ছররা গুলির বদলে চিলিভিত্তিক পাভা শেল ব্যবহারের পক্ষেই মত দিয়েছে বিশেষজ্ঞ প্যানেল। অবশ্য সেই সিদ্ধান্ত এখনও চূড়ান্ত হয়নি। টাইমস অব ইন্ডিয়া
উল্লেখ্য,গত ৮ জুলাই কাশ্মিরের অনন্তনাগের কোকেরনাগ এলাকায় সেনা ও পুলিশের বিশেষ বাহিনীর যৌথ অভিযানে হিজবুল কমান্ডার বুরহান ওয়ানিসহ তিন হিজবুল যোদ্ধা নিহত হওয়ার পর কাশ্মিরজুড়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। বিক্ষুব্ধ কাশ্মিরিদের দাবি, বুরহানকে ‘ভুয়া এনকাউন্টারে’ হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। বিক্ষোভ দেখিয়ে রাস্তায় নেমে আসেন মানুষ। আর বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলি চালিয়ে বিক্ষোভ দমনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে নিরাপত্তা বাহিনী। এর মধ্য দিয়ে দেড় মাস ধরে কাশ্মিরে অচলাবস্থা বিরাজ করছে। বিক্ষোভ দমাতে ব্যবহার করা হচ্ছে ছররা গুলিও, যার কারণে এরইমধ্যে অনেকে দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছেন। এমন অবস্থায় প্রশ্ন উঠেছে, বিক্ষুব্ধদের বিরুদ্ধে ছররা গুলির ব্যবহার কতটা যুক্তিযুক্ত। টাইমস অব ইন্ডিযার খবরে বলা হয়, এ ব্যাপারে মতামত দিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যে বিশেষজ্ঞ প্যানেল নিয়োগ করেছে, তারা নবনির্মিত পাভা শেলস ব্যবহারের পক্ষে। ছররার বদলে এতে ব্যবহার হবে লঙ্কার গুঁড়ো। বড় কোনও ক্ষতি না হলেও যার ওপর এই লঙ্কার গুঁড়ো ছোড়া হবে, সে বেশ কিছুক্ষণ নড়াচড়া করার অবস্থায় থাকবে না। কাশ্মিরের সহিংসতাএ ব্যাপারে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না হলেও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়, বিএসএফ, সিআরপিএফ, জম্মু কাশ্মির পুলিশ, দিল্লি আইআইটি ও অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরি বোর্ডের সদস্যদের নিয়ে যে ৭ বিশেষজ্ঞের প্যানেল গঠিত হয়েছে, তারা বিক্ষোভকারীদের হঠাতে এই পাভা শেলস ব্যবহারের পক্ষে।
এ সপ্তাহের শুরুতে পাভা শেলসের পরীক্ষামূলক ব্যবহারও হয়েছে। ‘পাভা’ শব্দটি এসেছে পিলারগনিক অ্যাসিড ভ্যানিলাইল অ্যামাইড থেকে, যার আরেক নাম ননিভামাইড। সহজ কথায়, শুকনো লঙ্কার গুঁড়ো। বিশেষজ্ঞ প্যানেলের দাবি, এই শেল একবার ছুড়ে দিলে প্রচণ্ড জ্বালাপোড়ার কারণে বিক্ষোভকারীরা আর নড়াচড়া করার অবস্থায় থাকবে না। সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদ