এম নাজিম উদ্দিন, রাঙামাটি : রাঙামাটিতে পাহাড়ি গ্রামে টিউবওয়েলের পাইপ দিয়ে বের হয়ে আসা গ্যাসজাতীয় পদার্থে আগুন জ্বলার তিন দিনেও ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেনি কোনো বিশেষজ্ঞ দল। এদিকে পাহাড়ি এলাকায় গ্যাসের সন্ধানের খবরে রাঙামাটিবাসীর মাঝে ব্যাপক উৎসাহ দেখা গেলেও ওই গ্রামের মানুষের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। কৌতূহলী এ গ্যাসের আগুন দেখতে পাহাড়ি গ্রামে মানুষ ভিড় জমাচ্ছে। গ্যাস নির্গত হওয়ার বিষয়ে পরীক্ষার জন্য গতকাল পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়নি বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে।
রাঙামাটি শহর থেকে প্রায় ১৫ কি.মি. দূরে সদর উপজেলার সাপছড়ি ইউনিয়নের যৌথ খামারপাড়া নামক পাহাড়ি গ্রামে ডিপ টিউবওয়েলের পাইপ দিয়ে গ্যাসজাতীয় পদার্থ বের হচ্ছে গত মঙ্গলবার থেকে। রাঙামাটি জেলা পরিষদের অর্থায়নে স্থানীয়দের খাবার পানি সরবরাহের জন্য ওই গ্রামে একটি ডিপ টিউবওয়েল স্থাপন করতে গেলে কয়েকশ ফিট পর্যন্ত পাইপ বোরিং করার পর পাইপ দিয়ে গ্যাস জাতীয় পদার্থ নির্গত হয়। এতে আগুন দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জ্বলে উঠে। এ আগুনে স্থানীয়রা গত দ্ুিদন যাবত রান্নাও করেছে বলে জানান।
রাঙামাটি জেলা প্রশাসক সামসুল আরিফিন জানান, এটি পকেট গ্যাস কিনা তা আমরা পর্যবেক্ষণ করছি। তিনি বলেন, বিশেষজ্ঞ আনার মতো পরিস্থিতি হলে পেট্রো বাংলা বা খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়কে জানানো হবে বণে জানান।
ওই টিউবওয়েল স্থাপনের কারিগর শহিদুল ইসলাম জানান, জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে ডিপ টিউবওয়েল স্থাপনের জন্য বেশ কমাস থেকে কাজ চলছে। অন্তত তিনশ ফিট বোরিং করার পর পাইপ দিয়ে আপনা আপনি পানি বের হয়ে আসছে। পরের দিন পানির সঙ্গে পাইপ দিয়ে গ্যাসজাতীয় পদার্থ বের হয়ে আসে। এ সময় পাইপ জোড়া দেওয়ার জন্য আগুন ধরালে তাতে আগুন ধরে যায়। তিনি জানান, এর এক সপ্তাহ আগে আরও কবার গ্যাসজাতীয় পদার্থ বেরিয়ে এলে পরে তা নিভে যায়। সে সময় রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা প্রশাসকসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। সম্পাদনা : প্রিয়াংকা