হুমায়ুন আইয়ুব: সৌদি আরবের প্রসিদ্ধ মিডিয়া আরব নিউজ সূত্রে প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়েছে, কাবাঘরের নিরাপত্তা বাহিনীর জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা কর্নেল বদর বিন সৌদ আল-সৌদ বলেন, কাবা জিয়ারতে আসা কোনো কোনো পূণ্যার্থীর আচরণ দেখলে মনে হয়, তারা পিকনিকে এসেছেন। খ্যাতনামা ব্যক্তিদের দেখে তাদের সঙ্গে ছবি তোলার প্রতিযোগিতায় মেতে উঠতেও দেখা যায় অনেককে। কাবাঘরের সামনে সেলফি তোলা তো খুবই সাধারণ দৃশ্যে পরিণত হয়েছে। তিনি কাবাঘরের ভেতর শুধুই ফোন কল করা ও রিসিভ করার সুযোগ অনুমোদন করার আহ্বান জানান।
বুখারি ও মুসলিম শরিফে বর্ণিত আছে, হজরত আয়েশা রা. বলেন, রাসুল সা. মৃত্যুশয্যায় শায়িতাবস্থায় তাঁর স্ত্রী উম্মে সালমা ও উম্মে হাবীবা রা. দুজন পরস্পর মারিয়া নামক গির্জায় অঙ্কিত ফটোর কথা বর্ণনা করলে নবীজি মাথা উঁচু করে বলেন, খ্রিস্টান-ইহুদিরা তাদের নেকলোক মৃত্যুবরণ করলে কবরের উপর মসজিদ নির্মাণ করে, তাতে ছবি অঙ্কিত করে। এরা আল্লাহর সৃষ্টিকুলের মধ্যে সর্বনিকৃষ্ট। অন্য এক হাদিসে হযরত আয়েশা রা. বলেন, হজরত রাসূল সা. সফরে ছিলেন, এ সময় আমি আমার দরজায় ছবিযুক্ত একটি পর্দা টানাই। তিনি সফর থেকে ফিরে ঘরে লটকানো পর্দা দেখে অত্যন্ত ক্ষুব্ধ হন এবং বলেন, হে আয়েশা! তোমার জানা থাকা উচিত, কিয়ামতের দিন সর্বাপেক্ষা অধিক আজাবে আক্রান্ত হবে তারা, যারা আল্লাহর সৃষ্টজীবের ছবি অঙ্কন করে প্রকাশ করে। (বুখারি, মুসলিম)
মুসলিম ও মুসনাদে আহমাদের হাদিসে বলা হয়েছে, যারা ছবি তোলে, তারা কিয়ামতের দিন সর্বাধিক কঠোর আজাবে আক্রান্ত হবে।
ইসলামের বাড়ি, কুরআন নাজিলের মাটি আল্লাহর ঘর কাবা শরিফের আঙিনায় বসে ছবি বা সেলফি তোলা জঘন্যতম অপরাধ। কাবার সঙ্গে বেয়াদবি। সরাসরি আল্লাহর হুকুমের সীমালঙ্ঘন। শরহে আকাইদে নাসাসি গ্রন্থে আছে, গুনাহের কাজ বা হারামকে হালাল মনে করা কুফরি।
সম্প্রতি ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দ মাদরাসার মহাপরিচালক মুফতি আবুল কাসিম নোমানি ছবি তোলাকে হারাম বলে ঘোষণা করেছেন। তিনি বলেছেন, ইসলাম কোনোভাবে ভিডিও বা চিত্র ধারণকে স্বীকৃতি দেয় না। এটি পাপ। সম্পাদনা: মোরশেদ