এম রবিউল্লাহ: ভারতের হাজি আলি দরগার ভেতরে নারীদের প্রবেশাধিকার দিয়েছে মুম্বাই হাইকোর্ট। দরগাহ কর্তৃপক্ষ মসজিদের ভেতর দিয়ে সুফি সাধকের কবরে নারীদের প্রবেশ পাপের শামিল বলে ৫ বছর আগে নারীদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করে দরগা কর্তৃপক্ষ। এনডিটিভি
দরগা কর্তৃপক্ষ নারীদের প্রবেশাধিকার বন্ধ করে দেওয়ায় ভারতীয় মুসলিম মহিলা আন্দোলন (বিএমএমএ) নামের একটি নারীবাদী সংস্থার সদস্যরা আদালতে যান। তাদের সহায়তা করে পাশে দাঁড়ায় মহারাষ্ট্রের সরকার।
শুক্রবার মুম্বাই হাইকোর্টের রায়ে বলা হয়েছে, দরগায় মহিলাদের ঢুকতে না দেওয়া ভারতীয় সংবিধানের মৌলিক অধিকার ভঙ্গের শামিল। দরগার ভেতর সমাধিস্থলে পুরুষের সঙ্গে নারীরাও ঢুকতে পারবেন। তাদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করবে মহারাষ্ট্র সরকার। সাধকরা কি কোনো নারীর মাধ্যমে জন্ম গ্রহণ করেনি? বৈষম্য কাম্য নয়।
তবে মুম্বাই হাইকোর্টের রায় এখনই কার্যকর হচ্ছে না। এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার সুযোগ পাবেন দরগা কর্তৃপক্ষ। দরগা কর্তৃপক্ষ সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। উচ্চ আদালতে আপিল করার জন্য তাদের ছয় সপ্তাহ সময় দিয়েছে মুম্বাই হাইকোর্ট।
যে কোনো ধর্মীয় স্থানে নারীদের প্রবেশের অধিকার নিয়ে দেশজুড়ে যে আন্দোলন চলছে তা মুম্বাই হাইকোর্টের শুক্রবারের রায়ে আরও গতি পাবে বলে মনে করছে আন্দোলন সমর্থকরা।
মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফাদনাবিস ধর্মীয় স্থানে লিঙ্গ বৈষম্যের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। নারী পুরুষের এই বৈষম্যের ঐতিহ্য পরিবর্তন করা প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি।
সম্প্রতি, ভারতের নারীরা মহারাষ্ট্রের শনি সিঙ্গনাপুর মন্দিরে প্রবেশের অধিকার অর্জন করেছেন। কেরালার শবরিমালা মন্দিরে মহিলাদের প্রবেশের অধিকার নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা চলছে।
১৫ শতকের হাজি আলি মসজিদ উপকূল থেকে মাত্র ৫০০ মিটার দূরে অবস্থিত। প্রতি বছর হাজার হাজার পুণ্যার্থী এখানে আসেন। সম্পাদনা: সুমন ইসলাম