![](https://amaderorthoneeti.com/new/wp-content/themes/amader-orthoneeti/img/sky.jpg)
জিয়া ও মোশতাকের মরণোত্তর বিচার দাবি হানিফের
দীপক চৌধুরী : আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ ‘বঙ্গবন্ধু হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী খুনি’ জিয়াউর রহমান ও খন্দকার মোশতাকের মরণোত্তর বিচার দাবি করেছেন।
তিনি সরকারের কাছে স্বাধীন তদন্ত কমিশন গঠন করে জিয়াউর রহমানসহ অন্যান্য পরিকল্পনাকারীর মুখোশ উন্মোচনের দাবি জানান।
জাতীয় শোক দিবস স্মরণে স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের রচনা প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ দাবি জানান।
গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবের হলরুমে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বঙ্গবন্ধু শিক্ষা ও গবেষণা পরিষদ। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে প্রথম পর্যায়ে সভাপতিত্ব করেন আয়োজক সংগঠনের সভাপতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। পরে তার অনুপস্থিতিতে সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন সংগঠনের সভাপতি-লীর সদস্য ও বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সহসভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুল বাসেত মজুমদার।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক সিরাজুল হক আলো, কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. শাহীনুর রহমান ও বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. আনোয়ারা বেগম।
বিএনপির এক পলাতককর্মী রাজধানীতে রিকশা চালায় দেখে মির্জা ফখরুল ইসলাম আবেগ ধরে রাখতে পারেননি, তার কান্না পেয়েছে উল্লেখ করে হানিফ বলেন, এ কর্মীই যখন পেট্রলবোমা মেরে, গাড়িতে আগুন দিয়ে মানুষ হত্যা করেছে, তখন তার এ কান্না কোথায় ছিল?
তিনি বলেন, বিএনপির এসব পলাতক কর্মীরা বিভিন্ন পরিবারের কর্তাব্যক্তিকে হত্যা করে তাদের পথে বসিয়েছে, কত শিশুর ওপর পেট্রলবোমা হামলা চালিয়ে হত্যা করেছে, পঙ্গু করেছে, সে খবর কি ফখরুল সাহেব রেখেছেন? রাখেননি।
ফখরুলের উদ্দেশে তিনি বলেন, ২০০১ সালে ক্ষমতা গ্রহণের পর বিএনপিকর্মীরা আওয়ামী লীগের ২৬ হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করেছে। আওয়ামী লীগে ভোট দেওয়ার জন্য পূর্ণিমা, শেফালীদের ধর্ষণ করেছে। তখন কোথায় ছিল আপনার এ কান্না?
জাতির পিতাকে হত্যার পর জিয়া মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করে পাকিস্তানি আদর্শে দেশ পরিচালনা করেন উল্লেখ করে হানিফ বলেন, বিএনপি পাকিস্তানি আদর্শের দল। পাকিস্তানের এজেন্ডা বাস্তবায়নেই এ দলটি নানাভাবে ষড়যন্ত্র করছে উল্লেখ করে বাংলাদেশে তাদের রাজনীতি করার সময় ফুরিয়ে এসেছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে রচনা প্রতিযোগিতায় বিজয়ী মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের ৫৫ জন শিক্ষার্থীর হাতে পুরস্কার হিসেবে দুটি করে বই ও সনদপত্র তুলে দেওয়া হয়। তিন বিভাগে ৩ জন করে শ্রেষ্ঠ ৯ বিজয়ীকে সম্মাননা ক্রেস্টও প্রদান করা হয়। বিজয়ী শিক্ষার্থীদের ‘বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ ও ‘ড. এমএ ওয়াজেদ মিয়া স্মারকগ্রন্থ’ প্রদান করা হয়। রচনা প্রতিযোগিতায় দুইশ প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করেছিলেন। সম্পাদনা: মোরশেদ
![](https://amaderorthoneeti.com/new/wp-content/themes/amader-orthoneeti/img/sky.jpg)