ইমরুল শাহেদ : মধ্য ইতালিতে ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলগুলোতে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে দেশটির সরকার। পরিস্থিতি মোকাবিলায় ৫০ মিলিয়ন ইউরো ফান্ডের ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী মাতেও রেনজি। এছাড়া তাদের জন্য ট্যাক্স মওকুফ করে ‘ইতালিয়ান হোমস’ নামে এক প্রকল্পেরও ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।
গত বুধবার মধ্য ইতালির বেশ কয়েকটি শহরে ভয়াবহ ভূমিকম্পের পর ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। ইতালির ইংরেজি দৈনিক দ্যা লোকালের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ভূমিকম্পের পর শতাধিকবার আফটার শকের ঘটনা ঘটেছে। এই পরিস্থিতিতেই শুক্রবার সকালে আবারও অ্যামিত্রিস ভূমিকম্পের ঘটনা ঘটেছে। তবে এ ভূমিকম্পের রিখটার স্কেল ছিল ৪ দশমিক ৮ মাত্রা।
মার্কিন ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানায়, দেশটির অ্যামাত্রিস শহর থেকে উত্তর-পশ্চিমে ভূ-পৃষ্ঠ থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে।
বুধবারের ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা প্রায় তিন শ’য়ের কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। বিবিসি জানিয়েছে, আহতের সংখ্যা ৩৬৫ জনের মতো। বারবার আফটার শকের ঘটনা ঘটায় ৫ হাজার উদ্ধারকর্মীর উদ্ধার তৎপরতাও ব্যাহত হচ্ছে।
ইতালির স্বাস্থ্যমন্ত্রী রয়টার্সকে জানিয়েছেন, হতাহতদের অনেকেই শিশু। উদ্ধারকর্মীরা ধ্বংসস্তূপ থেকে ১৭ ঘণ্টা পর ১০ বছরের এক মেয়ে শিশুকে জীবিত উদ্ধার করেছে। দমকল বিভাগের কর্মকর্তা লরেঞ্জো বট্টি জানান, তাদেরকে সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে উদ্ধার তৎপরতা চালিয়ে যেতে হচ্ছে। এ অবস্থায় ধ্বংসস্তূপে কাউকে জীবিত অবস্থায় পাওয়ার সুযোগ কম। তবু এখনও তারা জীবিত উদ্ধারের আশায় বুক বেঁধে তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন।
এদিকে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় ভবন নির্মাণের মান নিয়ে ইতালির গণমাধ্যমগুলোতে সমালোচনা শুরু হয়েছে। সংবাদমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইতালির ঐতিহাসিক শহরগুলোতে ভূমিকম্পরোধী ভবন নির্মাণ বিধিমালা মানা হয় না। দ্যা লোকাল জানিয়েছে, ইতালির সরকারি আইন কর্মকর্তারা ইতোমধ্যেই ভবন ধসের কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত শুরু করেছে। তাদের তদন্তে দুটি বিষয় প্রাধান্য পাবে। সেগুলো হলো- নবনির্মিত ভবনগুলো কোথায় কোথায় এবং কেন ধসে পড়লো।